অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অস্ট্রিয়াভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাপ্লাইড সিস্টেমস অ্যানালাইসিসের (আইআইএসএ)’ গবেষণায় জানা গেছে, বিশ্বের পরিত্যক্ত খনিগুলোতে মাধ্যাকর্ষণ ব্যাটারি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ শক্তি সংগ্রহ করা যাবে, যা গোটা বিশ্বের চাহিদার সমান। বিজ্ঞানীদের অনুমান বলছে, খনির ভেতর মাধ্যাকর্ষণ ব্যাটারি প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতি ঘণ্টায় আনুমানিক ৭০ টেরাওয়াট বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয় করা যেতে পারে, যা বিশ্বব্যাপী দৈনিক বিদ্যুৎ খরচের প্রায় সমান।
বাতাস বা সৌরশক্তির মতো নবায়নযোগ্য উপাদানের মাধ্যমে উৎপাদিত অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয়ের মাধ্যমে মাধ্যাকর্ষণ ব্যাটারি কাজ করে। এ সময়ে এটি ভারী ওজন উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেলে ওই ভারী ওজন ছেড়ে দেওয়া হয়। মধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে পতনের সঙ্গে সঙ্গে এটি টারবাইনকে ঘোরায় ও বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের গবেষক জুলিয়ান হান্ট গবেষণাপত্রে বলেন, পুরনো খনিকে মাধ্যাকর্ষণ ব্যাটারি হাউস হিসেবে পুনর্ব্যবহার করলে তা স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্যও লাভজনক হবে।
কোনো খনি বন্ধ হয়ে গেলে হাজার হাজার কর্মী কর্মহীন হয়ে পড়েন। এটি সেইসব সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দেয়, যাদের অর্থনীতি খনির ওপর নির্ভরশীল। তিনি আরও বলেন, খনিগুলোতে এরই মধ্যে মৌলিক অবকাঠামো ও পাওয়ার গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্তি থাকায় এটি খরচ কমিয়ে আনতে ও ইউজিইএসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে এরই মধ্যে একই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে অস্ট্রেলিয়ার এক লোহার আকরিক উত্তোলক কোম্পানি। গত বছর একে বিশ্বের সর্বপ্রথম ইনফিনিটি ট্রেন হিসেবে দাবি করে কোম্পানিটি। -দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
Leave a Reply