03 Dec 2024, 11:30 pm

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ৩ গুণ বাড়াতে আলোচনা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিশ্ব জরবায়ু কপ২৮ সম্মেলনে যোগ দিতে দুবাইতে বিশ্ব নেতারা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী ২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার তিনগুণ বাড়ানোর বিষয়ে সমর্থন জানাতে রোববার আলোচনা করবেন বিশ্ব নেতারা। ইতিমধ্যে প্রস্তাবে চূড়ান্ত সমর্থন জানাতে প্রস্তুত ১১০টির বেশি দেশের নেতারা। দুবাইতে অনুষ্ঠিত কপ-২৮ সম্মেলনে এই চুক্তিটি বৈশ্বিকভাবে পাস হতে যাচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

চুক্তিটিকে বাস্তবায়নের জন্য এবারের সম্মেলনে বিশেষভাবে জোর দিয়েছে জাতিসংঘ। চলতি দশকে জলবায়ু পরিবর্তন এড়িয়ে বৈশ্বিক উষ্ণতা কমানোর জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কপ-২৮ এর আয়োজক সংযুক্ত আরব আমিরাত এই প্রতিশ্রুতির প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছে।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন বৃহস্পতিবার নবায়নযোগ্য অঙ্গীকারের বিষয়ে কপ-২৮ শীর্ষ সম্মেলনে বলেন, ‘১১০টির বেশি দেশ ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছে। আমি এখন আমাদের সকলকে এই উদ্দেশ বাস্তবায়ন করতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

সরকার ও সংস্থাগুলো লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় বড় অংকের বিনিয়োগ জড়ো করবে কিনা তা একটি খোলা প্রশ্ন। সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য শক্তির স্থাপনা বিশ্বব্যাপী দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান ব্যয়, শ্রমের সীমাবদ্ধতা ও সাপ্লাই চেইনের সমস্যার কারণে নানাবিদ প্রকল্পে দেরি হওয়ার পাশাপাশি কিছু কিছু বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিনিয়োগকারীদেরও ব্যয় করতে হচ্ছে শত শত কোটি ডলার।

জাতিসংঘের জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের চুক্তিটি চূড়ান্ত করার জন্য উপস্থিত প্রায় ২০০টি দেশের মধ্যে ঐকমত্য প্রয়োজন। যদিও চীন ও ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিকে তিনগুণ করার জন্য সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছে তবে কেউই নিশ্চিত করেনি যে তারা সামগ্রিক প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করবে।

ইতিমধ্যে বোর্ডে থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, ভিয়েতনাম, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কানাডা, চিলি এবং বার্বাডোস।

নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার তিনগুণ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতির একটি খসড়া পেয়েছে রয়টার্স। সেখানে কয়লা শক্তির ব্যবহার হ্রাস ও নতুন করে কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহে অর্থায়ন বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এমবারের বিশ্লেষণ অনুসারে, বায়ু ও সূর্যের মতো শক্তির উৎসের ব্যবহার তিনগুণ বাড়ানো হলে বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্য পূরণে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার ৮৫ শতাংশ কমে আসবে।

সোমালিয়ার জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক নাজিব আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সম্ভাবনা ও বিনিয়োগ আকর্ষণের সীমাবদ্ধতার মধ্যে এখনও অমিল রয়েছে।’

আফ্রিকা নবায়নযোগ্য শক্তিতে বৈশ্বিক বিনিয়োগের মাত্র ২ শতাংশ পায়। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার মতে, সোমালিয়ায় আফ্রিকার যেকোন দেশের তুলনায় উপকূলীয় বায়ু শক্তির সর্বোচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে, তবুও মহাদেশের সর্বনিম্ন বিদ্যুতায়নের হারগুলোর মধ্যে একটি তারা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 7641
  • Total Visits: 1365608
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1669

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ১লা জমাদিউস-সানি, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, রাত ১১:৩০

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
      1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031     
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018