অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জাতিসংঘের শিশু তহবিল ‘ইউনিসেফ’ ২০২৪ সালকে ইউনিসেফের ইতিহাসে শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর হিসাবে ঘোষণা করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা এবং তাদের জীবনে যুদ্ধ-সংঘাতের প্রভাবের মানদণ্ড বিবেচনা করে ওই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
২০২৪ ইউনিসেফের ইতিহাসে শিশুদের জন্য রেকর্ড করা সবচেয়ে খারাপ বছর, যুক্তরাজ্যে মহিলাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ইরানে ক্যান্সারে আক্রান্ত দরিদ্র মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান এবং আমেরিকার পুলিশের হাতে নারী ও গৃহহীন মানুষদের নির্যাতন, বিশ্ব ও ইরানের নারী এবং শিশুদের সাথে সম্পর্কিত পার্সটুডে’র সর্বশেষ খবর ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবো এই নিবন্ধে।
২০২৪ সাল ছিল ইউনিসেফের ইতিহাসে শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর : জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ-এর নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল, সহিংস সংঘাতের কারণে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং নারী ও মেয়েদের যৌন হয়রানি ও দুর্দশার কথা উল্লেখ করে বলেছেন: ২০২৪ সাল ছিল সকল বিবেচনায় শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানমও বলেছেন: গাজা উপত্যকায় নিহত ৪৫,০০০ মানুষের মধ্যে শতকরা ৬০ ভাগই ছিল নারী ও শিশু।
যুক্তরাজ্যে নারীর প্রতি সহিংসতার সংকট : ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান, ব্রিটেনে ২০২৪ সালে ৮০ জন নারী হত্যার ঘটনা তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: পুলিশের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ব্রিটেনে প্রতি ৩ দিনে গড়ে একজন নারী একজন পুরুষের হাতে খুন হন।
ইরানে ক্যান্সার–আক্রান্ত দরিদ্র মহিলাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা : ইরানের একটি ক্যান্সার গবেষণাকেন্দ্র স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলাদের বিনামূল্যে স্ক্রিনিং, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ওই গবেষণাকেন্দ্রটি আরও জানিয়েছে: এই গবেষণা কেন্দ্র ইরানে তাদের স্ক্রিনিং পরিকল্পনায় নিম্ন আয়ের রোগীদের সনাক্ত করে তাদেরকেও বিনামূল্যে চিকিত্সা দিচ্ছে।
নারী এবং গৃহহীন লোকদের ওপর আমেরিকার পুলিশের নির্যাতন সম্পর্কে সতর্কতা : ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিস এর গবেষণায় দেখা গেছে যে আমেরিকার কোনো কোনো শহরে পুলিশ কর্মকর্তারা, বাহ্যত নারীদের আইনি সুরক্ষা ও সহায়তা দেওয়ার কথা বলে কার্যত তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। এই গবেষণায় আমেরিকার পুলিশের অপকর্মের একটি তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকায় রয়েছে: নারীদের ওপর যৌন হয়রানি করা, গৃহহীনদের সাথে দুর্ব্যবহার করা, দরিদ্র মানুষদের শোষণ করা, শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হয়রানি করা, মানসিক সমস্যাগ্রস্ত লোকেদের উপহাস করা এবং গ্রেপ্তার করা, বাক স্বাধীনতার আইনি অধিকার হিসেবে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদকারীদের শাস্তি দেওয়া ইত্যাদি।
মরক্কোতে নারী অধিকারসহ নতুন পারিবারিক আইন : মরক্কো নারীদের কেন্দ্র করে গৃহ ও পরিবার বিষয়ক নতুন আইন প্রবর্তন করেছে। মরক্কোর আইন ও বিচারমন্ত্রী আবদুল-লতিফ আওয়াহেবি এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন: গত ২০ বছরে সেদেশের পারিবারিক আইন নিয়ে প্রথমবারের মতো পর্যালোচনা করা হয়েছে। ওই পর্যালোচনা শেষে শিশুদের হেফাজত এবং অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে নারীদেরকে আরও বেশি অধিকার দেওয়া হবে। সেইসাথে বহুবিবাহের ওপর ভেটো অধিকারও দেওয়া হবে নারীদেরকে।
Leave a Reply