অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ব্রিটিশ গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে গত পাঁচ দশক ধরে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে মেডিকেল পরীক্ষার সময় শত শত নারী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে কিছু কিছু ঘটনা মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই খবর প্রকাশের প্রেক্ষাপটে এ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির তদন্তের জন্য জনসাধারণের চাপ বৃদ্ধির মুখে ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ার পুলিশ ঘোষণা করেছে যে তারা ১৯৭০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সামরিক চিকিৎসা পরীক্ষার সাথে সম্পর্কিত অভিযোগগুলো তদন্ত করবে।
প্রতিবেদনগুলিতে বলা হয়েছে যে উইল্টশায়ার পুলিশ বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কেউই সেনাবাহিনীতে মেডিকেল পরীক্ষার সময় যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ার দাবি-করা মেয়ে এবং নারীদের সংখ্যা সম্পর্কে মন্তব্য করবে না। গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখেছে: “পুলিশ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন সামরিক স্থানে নির্যাতনের অভিযোগ তদন্ত করছে, এবং কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে অভিযোগগুলোর পিছনে বেশ কয়েকটি চলক বা নিয়ামক থাকতে পারে।”
অর্ধেকেরও বেশি জার্মান নারী জনসমাগমের স্থানে নিরাপদ বোধ করেন না : জার্মান রাজনীতিবিদ, লেখিকা ও পরিবেশ কর্মী লুইসা নিউবাউয়ার, অভিবাসীদের সম্পর্কে দেশটির চ্যান্সেলরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, জার্মানিতে নারীরা নিরাপদ নন। জার্মান ওই চ্যান্সেলরের বক্তব্যকে যা সমালোচকরা “বর্ণবাদী” বলে বর্ণনা করেছেন।
নিউবাউয়ার জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্টজকে অভিবাসী এবং “শহরের চেহারা” বিতর্ক সম্পর্কে তার বক্তব্যে মূল বিষয়ের দিকে মনোযোগ না দেয়ার এবং সুরক্ষা সম্পর্কে জার্মান মহিলাদের একটি দলের চিঠির জবাব দিতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগ করেছেন।
এই রাজনৈতিক কর্মী জোর দিয়ে বলেন: “এই দেশে নারীরা নিরাপদ নয়, এবং তাদের মধ্যে সাধারণ বৈশিষ্ট্য হল তারা “শহরের চেহারা” নয়, বরং তারা কেবল “পুরুষ”। গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমরা যে বক্তব্য শুনেছি তার কোনওটিই ইঙ্গিত দেয় না যে তিনি জার্মান নারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন।”
এক জনমত জরিপে দেখা গেছে. জার্মানির অর্ধেকেরও বেশি নারী পাবলিক প্লেস বা জনসমাগম হয় এমন সব স্থানেই অনিরাপদ বোধ করেন। সিভে পোলিং ইনস্টিটিউট কর্তৃক পরিচালিত এবং ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ৫,০০০ প্রাপ্তবয়স্কদের উপর পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে যে জার্মানির ৫৫ শতাংশ নারী বলেছেন যে তারা রাস্তাঘাট, গণপরিবহন, পার্ক, ক্লাব এবং ট্রেন স্টেশন সহ সকল জনসমাগমের স্থানে অনিরাপদ বোধ করেন। নাইটক্লাব ও ট্রেন স্টেশনগুলোকেও সবচেয়ে অনিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে জার্মানিতে।
এদিকে, জার্মানির পুরুষসহ জরিপে অংশ-নেয়া সব শ্রেণীর মধ্যে ৪৯ শতাংশ বলেছেন যে তারা উল্লেখিত কোনও স্থানেই নিরাপদ বোধ করেন না।