অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দেশটির বিজ্ঞানীদের অ্যান্টি-এজিং ওষুধ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, নিজের জন্য নয়, দেশের জন্যই এই ওষুধ তৈরি করতে বলেছেন তিনি। এর উদ্দেশ্য হল, ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো।
আনন্দবাজার জানিয়েছে, রাশিয়ার মানুষদের আয়ু কমা নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যাতে তাদের আয়ু বাড়ে, তার জন্য রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের দ্রুত বার্ধক্য রোধকারী বা অ্যান্টি-এজিং চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে বলেছেন। গত জুন মাসেই এই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছ থেকে কড়া নির্দেশ পাওয়ার পরই সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একাধিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করা হয়েছে। সেখানের চিকিৎসক-গবেষকদের এমন ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করতে বলা হয়েছে যা সাধারণ মানুষের বয়স বা বার্ধক্য থামিয়ে দিবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষের জীবন রক্ষার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী টাটিয়ানা গোলিকভা জানিয়েছেন, সরকার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে এমন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার করবে যা আয়ু বাড়াবে এবং জীবনের মানোন্নয়ন করবে।
দেশবাসীর জন্যই এই চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের কথা বলা হলেও বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, হয়তো পুতিন নিজের জন্যই এই ওষুধ চাইছেন। এই গবেষণায় বিপুল খরচ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উচ্চপদস্থ রুশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা যখন প্রেসিডেন্টের এই অনুরোধটি পেয়েছিলেন, তখন নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
সমালোচকেরা বলছেন, পুতিন আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকার জন্যই এই কৌশল নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট পদে থাকার জন্য চাই শারীরিক সক্ষমতা। ‘দ্য সান’-এর এক প্রতিবেদনে ক্রেমলিনের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, বার্ধক্য রোধ করতে সাইবেরিয়ান লাল হরিণের শিংয়ের রক্তে স্নান করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
Leave a Reply