July 31, 2025, 6:34 am
শিরোনামঃ
বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের দাবিতে মহেশপুরে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের স্মারকলিপি প্রদান ঝিনাইদহের মহেশপুরে বিশ্ব মানবপাচার দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা ঝিনাইদহে ত্রিশ গ্রামের দশ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে ; বিএডিসির খাল এখন কৃষকের মরণ ফাঁদ তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সমস্যা মেটাতে কমিটি গঠন : ধর্ম উপদেষ্টা  ৫ আগস্ট কোনো ধরনের নিরাপত্তার সমস্যা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র সংস্কারের চাহিদা চেয়ে প্রাইমারি স্কুলগুলোতে চিঠি আওয়ামী লীগ এমপির কাছ থেকেও ৫ কোটি টাকার চাঁদা নিয়েছে আটক রিয়াদ ও তার দল একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে যশোরে র‌্যালি ও আলোচনা সভা নওগাঁয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ 
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

ভদ্রতা বা শিষ্টাচার সম্পর্কে হাদীসে কুদসীসমূহ (বাংলা অর্থ)

ভদ্রতা বা শিষ্টাচার হলো মানুষের শ্রেষ্ঠ গুণাবলির মধ্যে অন্যতম গুণ। সম্পদ, ক্ষমতা, মর্যাদা ও পদাধিকার বলে যা অর্জন করা অসম্ভব, ভদ্রতা প্রদর্শন করে তা অতি সহজে অর্জন করা যায়। বস্তুত মানুষের মন জয় করার শ্রেষ্ঠতম যাদুমন্ত্র হলো ভদ্রতা ।
সামাজিক জীবনে একের সাথে অপরের মিলন আবশ্যক। আর এ মিলনের মুথ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ পরস্পরে প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা, স্নেহÑমমতা, সমবেদনা ও সহানুভূতির পরিপূর্ণ রূপায়ণ। যদি তা না হয় তবে মিলনই বৃথা। তাই ইসলাম মানবজাতিকে এমন একটি জীবন বিধান প্রদান করেছে যা আল­াহ্র নিকট থেকে ফেরেশতামন্ডলী এবং মানবজাতি শিক্ষা গ্রহণ করেছে। তাকে আমরা তাহিয়্যাত বা অভিবাদন বলি। এর ব্যবহারিক রূপ, ‘আসসালামু আলাইকুম।” এটা দয়া , ভালবাসা, বন্ধুত্ব ও প্রার্থনা প্রভৃতি যাবতীয় অর্থ বহন করে থাকে। ইসলামের বিধান অনুযায়ী আদবÑকায়দা ও শিষ্টাচারের এ পবিত্র রীতির মাধ্যমে সকল মুসলমান একই সূত্রে আবদ্ধ হয় এবং একটি বিরাট পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তি হিসাবে পরস্পর ভ্রাতার ন্যায় জীবন যাপন করার সুযোগ পায়।
অতএব তাহিয়্যাত বা সালামের মূল্য অপরিসীম। মুসাফাহা (করমর্দন) মু‘আনাকা  (কোলাকুলি) ও হস্তচুম্বন প্রভৃতি ও শিষ্টাচারের বিভিন্ন রূপ । কিন্তু সালাম আদানÑপ্রদান হলো সর্বশ্রেষ্ঠ এবং এর প্রভাব মানব মনে অনেক বেশি।

১। মহান আল­াহ্ হযরত আদম (আ) কে তাঁর নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করলেন। তাঁর দৈর্ঘ্য ছিল ষাট গজ। তারপর আল­াহ্ তা‘আলা তাঁকে আদেশ করলেন, যাও এবং ফেরেশতাদের যে দলটি বসে আছে তাদেরকে সালাাম কর এবং মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ কর তারা তোমাকে কি দু‘আ করে। কারণ, তাই তোমাকে ও তোমার সন্তান Ñসন্তুতিদের পরস্পরের অভিবাদন পদ্ধতি হবে। অতঃপর তিনি গেলেন এবং বললেন,‘আসসালামু আলাইকুম’। তাঁর সালামের জবাবে ফেরেশতাগন বললেন, ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল­াহ,’ সুতরাং ফেরেশতাগণ ওয়া রাহমাতুল­াহ বুদ্ধি করলেন। অতএব, যে সব ব্যক্তি বেহেশতে প্রবেশ করবে তারা আদমের আকৃতির জীব এবং তারা ষাট গজ হবে। তারপর হতে সৃষ্ট মানবের দেহ আকৃতিতে ছোট হতে লাগল এমনকি বর্তমান পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। ইমাম আহমদ ও শায়খাইন আলোচ্য হাদীসখানা হযরত আবূ হুরায়রা (রা)Ñএর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

২. যখন আল­াহ্ তা‘আলা হযরত আদম (আ) Ñকে সৃষ্টি করলেন এবং তাতে আতœা প্রবেশ করালেন তখন তিনি হাঁচি দিলেন এবং আল­াহ্র অনুমতিক্রমে বললেন,‘আলহামদুলিল­াহ’। তখন তার প্রতিপালক বললেন, ইয়ার হামুকাল­াহÑহে আদম! ফেরেশতাদের যে সম্প্রদায় বসে আছে , তুমি তাদের নিকট যাও এবং বল, ‘আসসালামু আলাইকুম ।’ অতএব, তিনি ফেরেশতাদের নিকট গিয়ে বললেন, ‘আসসালামু আলাইকুম’। জবাবে ফেরেশতাগণ বলল, ‘ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল­াহ।” তারপর আদম তার প্রভুর নিকট ফিরে আসলেন, আল­াহ্ বললেন, “নিশ্চয়ই তা তোমার ও তোমার সন্তানের ও তাদের সন্তানদের অভিবাদন পদ্ধতি।” তখন আল­াহ্ নিজ (কুদরতী) হাত দুটি মুষ্ঠিবদ্ধ অবস্থায় তাঁকে বললেন , ‘তুমি এ দুই-এর যেটি খুশি পছন্দ কর”। তিনি বললেন,“ আমি আমার প্রতিপালকের ডান হাত গ্রহণ করলাম, আর আমার প্রভুর উভয় হাতই ডান হাত এবং উভয়ই কল্যাণকর।” অতঃপর আল­াহ্ এটা প্রসারিত করলেন এবং আদম সহসা তার সন্তান-সন্ততি দেখলেন এবং বললেন, “হে আমার প্রতিপালক! এরা কারা? আল­াহ্ বললেন,“তারা তোমার সন্তান-সন্ততি।” আর তা বিচিত্র যে, প্রত্যেক মানুষের আয়ু তার দুইচোখের মাঝখানে লেখা রয়েছে। অতঃপর তাদের মধ্যে ছিল এক উজ্জ্বলতম অথবা উজ্জ্বলতম ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলো একজন। আদম জিজ্ঞাসা করলেন, “হে প্রভু! ইনি কে? ” আল­াহ্ বললেন,“ সে তোমার ছেলে দাউদ, আর আমি তার আয়ু চলি­শ বছর লিখে রেখেছি। আদম বললেন “হে রব! তার আয়ু বাড়িয়ে দিন।” আর আল­াহ্ বললেন “আমি তার জন্য এহাই নির্ধারণ করেছি।” তখন আদম বললেন , “হে রব! আমি আমার হায়াত থেকে ষাট বছর প্রদান করলাম।” আল­াহ্ বললেন,“ এর বিনিময় তোমার এবং তার মধ্যে।’ তাকে আল­াহ্ যেরূপ চাইলেন, বেহেতবাসী করলেন ও তা থেকে দুনিয়ায় প্রেরণ করলেন। অতঃপর তার আয়ু হিসাব করতে লাগলেন। অতঃপর একদা তার নিকট মৃত্যুর দূত এসে হাজির হল। তখন আদম তাকে বললেন,“তুমি নির্ধারিত সময়ের পূর্বে এসে গিয়েছ। কারণ, আমার আয়ু এক হাজার বছর লেখা আছে।” মৃত্যৃর দূত বলল, হ্যাঁ, কিন্তু তুমি তোমার ছেলে দাউদকে ষাট বছর প্রদান করেছ।”আদম কিন্তু তা অস্বীকার বরলেন। তারপর তার সন্তান-সন্ততিও অস্বীকার করল। কারণ, আদম ও তাঁর সন্তান-সন্ততি সে কথা ভুলে গিয়েছিল। সে দিন থেকে লেখার ও সাক্ষ্য প্রদান করার আদেশ প্রদান করা হলো। ইমাম তিরমিযি হযরত আবূ হুরায়রা (রা)Ñএর সূত্রে বর্ণনা করেছেন।

 

 

 

আজকের বাংলা তারিখ



Our Like Page