অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড তাপদাহে হাঁপিয়ে উঠছে এই অঞ্চলের মানুষজন। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে একই পরিস্থিতি। সোমবার (১৮ এপ্রিল) ওড়িশার বারিপাড়ায় তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
প্রতিদিনই তাপমাত্রা বাড়ছে ভারতে। সকাল থেকেই পারদ বাড়তে থাকায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে বাড়ছে চাপ। এতে ব্ল্যাক আউটের ঝুঁকি বাড়ছে। অতিগরমের কারণে বিদ্যুৎ সেক্টরগুলো ঝুঁকির মুখে অনেকটা। অতি গরমে হিট স্ট্রোকের শঙ্কাও বাড়ছে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ওড়িশাসহ বেশ কয়েকটি অঞ্চলে তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে। এবারের গ্রীষ্মে স্বাভাবিকের চেয়ে গরম অনেক বেশি হতে পারে বলে প্রস্তুত ভারত।
২০২২ সালে একটি প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের শিকার হওয়ার পরে আবহাওয়ার ওপর মনোযোগ দিচ্ছে দেশটির সরকার। কিন্তু বিদ্যুৎ খাতে মনোযোগ দেওয়ার পরও ব্যর্থতা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। এয়ার কন্ডিশনের ব্যবহার যেমন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেই সঙ্গে তাপমাত্রাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
১০০ কোটি ৪০ লাখ জনসংখ্যার ভারতের বেশির ভাগ মানুষকেই কাজের জন্য বাইরে বের হতে হয়ে। যাদের অধিকাংশেরই কোনও সুরক্ষা নেই। খোলা আকাশের নিচে কোনও তাঁবু ছাড়াই প্রচণ্ড রোদে কাজ করতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এদের অনেকেরই নির্মাণ শ্রমিক, হকার এবং রিকশাচালক প্রতি বছর গ্রীষ্মে মারা যায়। গরমের কারণে প্রতিবছরই ভারতে অনেক শ্রমিকের অকাল মৃত্যু হচ্ছে।
গত রবিবার মহরাষ্ট্রে খোলা জায়গায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হিট স্ট্রোকে মারা যান ১১ জন। অসুস্থ হয়ে আরও ৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। মহারাষ্ট্র সরকার আয়োজিত মহারাষ্ট্র ভূষণ পদক বিতরণের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদে দাঁড়িয়ে থাকার পর হিট স্ট্রোকে তাদের মৃত্যু হয়।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিশুদের প্রচণ্ড গরম থেকে সুরক্ষায় এই সপ্তাহে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। অন্য কয়েকটি রাজ্যেও, স্কুলের সময় সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি
Leave a Reply