অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ ভারত মহাসাগর অঞ্চলে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন জোরদারে ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) প্রশংসা করেছেন। আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে আইওআরএ মহাসচিব ড. সালমান আল ফারিসি এখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি একথা বলেন।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ব্রিফিংকালে জানিয়েছেন, ‘রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন অ্যাসোসিয়েশন পরিচালনা করার জন্য আইওআরএ সেক্রেটারি জেনারেলের নেতৃত্বের প্রশংসা এবং আইওআরএ এর লক্ষ্য অর্জনে তার টিমের চমৎকার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।’
এখানে জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে (জেসিসি) অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস (আসিয়ান) এর ৪৩তম শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম ‘পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে’ যোগ দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি এখন ইন্দোনেশিয়া সফরে রয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার সঙ্গে রয়েছেন।
মোমেন জানান, রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ নভেম্বর ২০২১ থেকে অক্টোবর ২০২৩ মেয়াদের জন্য আইওআরএ’র সভাপতির দায়িত্ব পালনের সৌভাগ্য লাভ করেছিল। বাংলাদেশ আইওআরএ এর লক্ষ্য ও কার্যক্রমকে উচ্চ গুরুত্ব দেয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আইওআরএ’র ছয়টি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র এবং দুটি ক্রস-কাটিং ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আইওআরএ সভাপতিত্বকালে বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের কিছু অমীমাংসিত প্রশাসনিক সমস্যা সমাধানে এবং আইওআরএ -এর ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক চূড়ান্তকরণ, সৌদি আরবকে আইওআরএ-এর সংলাপে অংশীদার করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং ইইউ-এর সংলাপ অংশীদারিত্বের ইস্যুটিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান আসিয়ান সেক্রেটারিয়েট এবং আইওআরএ সেক্রেটারিয়েটের মধ্যে সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রশংসা করে আশা প্রকাশ করেন যে, এটি ২৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
তিনি আইওআরএ সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্বপালকালে আন্তরিক সহযোগিতা ও সমর্থন দেয়ার জন্য ড. সালমান আল ফারিসিকে ধন্যবাদ জানান এবং আশা প্রকাশ করেন যে এটি অব্যাহত থাকবে।
আইওআরএ মহাসচিব ভারত মহাসাগর অঞ্চলের মধ্যে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও সুষম উন্নয়ন জোরদার করতে আন্তঃসরকার সংস্থা আইওআরএ এর সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
তিনি আইওআরএ স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে এবং নীল অর্থনীতির সম্ভাবনা অন্বেষণে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আইওআরএ মহাসচিব সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন যা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply