অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একটি ভুয়া কোম্পানির অনুকূলে এবি ব্যাংকের ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ঋণ অনুমোদনের অভিযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং জড়িতদের চিহ্নিত করে কেন আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না রুল জারি করেন আদালত।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ‘খেলাপির তথ্য লুকিয়ে আরও বড় জালিয়াতি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুর ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট—বিএফআইইউ ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে—সিআইডিকে তিন মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত।
দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ মন্ত্রণারয়ের সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিব, বিএফআইইউ, সিআিইডি, এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পত্রিকার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবি ব্যাংক ব্র্যান্ডশেয়ার ট্রেডিংয়ের নামে একটি নামসর্বস্ব ভুয়া কোম্পানির অনুকূলে ৩৫০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছে। যার সুবিধাভোগী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী হায়দার রতন। এই রতনই ন্যাশনাল ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে রাতে ঋণের টাকা তুলে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন।
জালিয়াতির এই ঋণের তথ্য জানতে পেরে এরই মধ্যে তা আটকে দিয়েছে বিএফআইইউ। আর কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে পরিচালনা পর্ষদের ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।
আলী হায়দার রতনের নামে বর্তমানে পাঁচ ব্যাংকে ৫৫৯ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে। বিভিন্ন সরকারি কাজের কার্যাদেশের বিপরিতে সন্দেহজনক উপায়ে নেওয়া এসব ঋণ এখন খেলাপি।
Leave a Reply