অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে দায়িত্বে পালন করবেন একজন ম্যাজিস্ট্রেট।
প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ১৭ থেকে ১৮ জনের দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও ৯৯৯-এ অভিযোগ জানানো যাবে।
সোমবার সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান।
গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, সাধারণ ভোট কেন্দ্রসমূহে নির্ধারিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগে যা ছিল, সেটা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ পুলিশ মোতায়েন থাকবে তিনজন, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি এপিসিসহ থাকবে তিনজন, মোট ছয় জন অস্ত্রধারী সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য কমপক্ষে ১০ জন আনসার থাকবে। ছয়টির বেশি বুথ যেখানে আছে সেখানে অতিরিক্ত আরও একজন করে থাকবেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চার জন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন, মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
যেহেতু ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। মোবাইল ফোর্স, স্টাইকিং ফোর্স ভোর রাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবে। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বন্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে যেটা করবে, সেইভাবে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কিনা সেটা দেখভালের জন্য ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দুদিন তারা সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স প্রস্তুত থাকবে । উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতি বছরের মতো এবারও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সেইরকম কোন সহিংসতার খবর নেই। তারপর আমাদের প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে। সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে।’
সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল খোলা হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের আদলে সকল ধরনের নির্বাচন সংক্রান্ত কমপ্লেইন ৯৯৯- এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে, প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কিভাবে নিষ্পত্তি হলো, কে এটি দেখল- সবকিছু ট্র্যাকিং থাকবে এবং একটি টিম এখানে বসে দেখভাল করবে।’
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতি ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন, ভোটের পরের দিনসহ মোট চার দিন আমাদের এই সমন্বয় সেল থাকবে।’
Leave a Reply