April 14, 2025, 12:33 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে এনজিও কর্মীর আত্নহত্যা চার দিনের শুভেচ্ছা সফরে চট্টগ্রাম বন্দরে রাশিয়ান নৌবাহিনীর ৩ যুদ্ধজাহাজ ৭ হাজার ১৮৪টি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইভ্যালি’র রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড পাসপোর্টে ‘ইসরাইল ব্যতীত’ লেখা পুনঃপ্রবর্তন করলো বাংলাদেশ দেশে ফিরছেন মিয়ানমারে আটক ২০ বাংলাদেশি যুবক  ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভের সময় সিলেটে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর-লুটের ঘটনায় ২৫ জন গ্রেফতার গাজীপুরে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযানে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ভারতীয় মালামাল জব্দ ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজা হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত
এইমাত্রপাওয়াঃ
আমাদের সাইটে নতুন ভার্ষনের কাজ চলছে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

ভৌতিকভাবে ঝিনাইদহ পৌরসভার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের টাকা জমা

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ঝিনাইদহ পৌরসভার একটি অ্যাকাউন্টে ভৌতিকভাবে মোটা অঙ্কের টাকা জমা হয়েছে। এই টাকা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কে বা কারা এই টাকা ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংকের ৩১৬ নম্বর পৌরসভার অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছে তার কোনো তথ্য নেই ঝিনাইদহ পৌরসভায়। গত ২২ সেপ্টেম্বর অত্যন্ত গোপনে ঐ অ্যাকাউন্টে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। কোনো বিলের বিপরীতে এ টাকা জমা হয়নি। আর এ বিষয়টি সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে।

পৌরসভার হিসাব কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ বলেন, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে কোনো কাগজপত্র হাতে পাননি। তিনি আরো বলেন, এ হিসাবে সাবরেজিস্ট্রি অফিস থেকে ২ পারসেন্ট করে প্রাপ্ত টাকা জমা হয়ে থাকে। আর পৌরসভার সচিব নুর আহমেদ বলেন, পৌরসভার একটি হিসাবে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা জমা পড়েছে। তবে কীসের টাকা এ হিসাবে  জমা পড়েছে তা তিনি বলতে পারেন না।

ঝিনাইদহ পৌরসভার চেক ও ভাউচার জালিয়াতির মাধ্যমে  ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৮ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে দুই বছর আগে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০১১ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বমোট ৩৮টি চেক ও ভাউচারের অনুকুলে ৮৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৯৮  টাকা উত্তোলন করা হয়। ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু ২০২১ সালের ২৭ জুন ঝিনাইদহ পৌরসভার ২৯৬ নম্বর স্মারকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেন।  মেয়রের অভিযোগপত্র পাওয়ার পর ২০২১ সালের ১২ আগস্ট স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের (পৌরসভা শাখা-১) উপসচিব মুহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক পত্রে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইয়ারুল ইসলামকে তদন্ত করে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরবর্তী সময়ে মেয়রের মেয়াদ কাল শেষ হলে উপপরিচালক ইয়ারুল ইসলাম পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের যশোর সমন্বিত অফিস ঝিনাইদহ পৌরসভায় হানা দিয়ে ফাইল নিয়ে যান। কিন্তু দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি।

এদিকে ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর পৌরসভার ৩১৬ নম্বর অ্যাকাউন্টে ৭৪ লাখ ৫৮ হাজার ৮২ টাকা জমা হয়। বিভিন্ন জন ধারণা করছেন, টাকা আত্মসাৎকারী পৌর কর্মকর্তাদের কেউ এ টাকা জমা দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে পৌরসভার সাবেক প্রশাসক ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক দপ্তরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ইয়ারুল ইসলাম জানান, তিনি পৌরসভার চেক জালিয়াতির ঘটনাটি তদন্ত করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। টাকা আত্মসাতের সত্যতা মিলেছে।

আজকের বাংলা তারিখ

April ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Mar    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  


Our Like Page