November 4, 2025, 2:47 pm
শিরোনামঃ
আজ বেদনাবিধুর ও কলঙ্কিত জেলহত্যা দিবস গণভোট নিয়ে দলগুলো ‘ঐকমত্যে’ পৌঁছাতে না পারলে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার : আইন উপদেষ্টা সংকটময় মুহূর্তে দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে আসন্ন নির্বাচন : সিইসি বিতর্ক সত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারেন বিশ্বখ্যাত ইসলামি বক্তা জাকির নায়েক নোয়াখালীতে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা দাহ কুমিল্লায় সীমান্ত এলাকা থেকে ১ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি পটুয়াখালীতে বাসে অভিযান চালিয়ে ১৪০০ কেজি জাটকা জব্দ যুদ্ধের আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ট্রাম্প বললেন ‘ভেনিজুয়েলার নেতা মাদুরোর দিন শেষ’ ইসরাইলকে আরও তিন জিম্মির মরদেহ ফেরত দিল হামাস রাশিয়া ও চীন পরমাণু পরীক্ষা চালিয়েছে : ট্রাম্প 
এইমাত্রপাওয়াঃ

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ খুলনার জনগনের ‘মশারি মিছিল’

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :   মশার উপদ্রব চরম আকার ধারণ করেছে খুলনা নগরীতে। বছরের প্রথম ২ মাসেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুজন। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন আরও ১২ জন।

কিন্তু নির্বিকার প্রশাসন। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন খুলনার নাগরিক সমাজ। মশা থেকে বাঁচতে মশারি নিয়ে নেমেছেন রাস্তায়। করেছেন ‘মশারি মিছিল’। এভাবেই ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ জানিয়েছেন খুলনার নাগরিক সমাজ।

শনিবার (১ মার্চ) খুলনা নগরীর হাদিস পার্ক থেকে শুরু হয়ে ‘মশারি মিছিল’টি বাংলাদেশ ব্যাংক মোড় ঘুরে আবার হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেন স্থানীয় বাসিন্দা, পরিবেশকর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ সময় তাদের ‘মশার রাজত্ব চলবে আর কত?’, ‘আমরা করব কী, মশা যদি না মরে?’, ‘সিটি করপোরেশন, জবাব দাও!’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। কেউ মাথার ওপর মশারি ধরে, কেউ আবার গায়ে জড়িয়ে মিছিলে অংশ নেন।

এর আগে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে নগরবাসী অভিযোগ করেন, খুলনার বিভিন্ন এলাকায় মশার উপদ্রব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। মশা নিধন কার্যক্রম অপ্রতুল, নিয়মিত লার্ভিসাইড স্প্রে করা হয় না। জলাবদ্ধতা ও অপরিচ্ছন্ন ড্রেনের কারণে মশা বংশবিস্তার করছে।

সমাবেশে নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘মশারি মিছিল মূলত প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের এই প্রতিবাদে যদি দ্রুত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তবে নগরবাসী উপকৃত হবে।’

নাগরিক নেতা মাহবুবুর রহমান মুন্না বলেন, ‘দৌলতপুর, খালিশপুর, শিববাড়ি, গল্লামারী, বসুপাড়া, মুজগুন্নীসহ বিভিন্ন এলাকায় মশার উৎপাত ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সন্ধ্যা নামতেই অসহনীয় হয়ে উঠছে মশার উপদ্রব।’

১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙ্গা গেট এলাকার বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘গরমের শুরুতেই মশার উপদ্রব বেড়ে স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আশপাশে প্রচুর ঝোপঝাড় থাকায় সেখানে মশার নিরাপদ আবাস গড়ে উঠেছে। মাঝেমাঝে সিটি করপোরেশনের মশা নিধন কার্যক্রম দেখা গেলেও তা পর্যাপ্ত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘শুধু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের স্বজনেরা যে পরিমাণে মশার কয়েল কেনেন, তাতেই বোঝা যায় মশার উপদ্রব কতটা। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও কেন এই সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না, তা আমরা বুঝতে পারি না।’

খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমরা মশা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিয়মিত ফগিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে এবং প্রতিটি ড্রেনে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে।’

এদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘গরমের শুরু থেকেই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তবে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে এবং জনস্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে।’

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে খুলনায় কয়েকশ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়, যাদের অনেকে মারাত্মক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৭০৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন, এর মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে মোট ভর্তি রোগী সংখ্যা ১,৩৩৩ জন, এর মধ্যে মৃত্যু হয় ১৭ জনের।

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page