স্টাফ রিপোর্টার : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের স্বপ্ন ছোঁয়া প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল সিজারিয়ান অপারেশনে নবজাতকের মৃত্যুর ছয় দিন পর ময়না খাতুন (২২) নামে এক মায়ের মৃত্যু হয়েছে। ৭ জুন দুপুর ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি ভোলাডাঙ্গা গ্রামের জীম হোসেনের স্ত্রী ও পাশ^বর্তী সোনাইডাঙ্গা গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে। এঘটনায় উত্তেজিত এলাকাবাসী হাসপাতালে ভাংচুর চালায়।
নিহতের নানা জানান, প্রসব বেদনা উঠলে গত ৩০ মে ময়না খাতুনকে স্বপ্ন ছোঁয়া প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সিজারিয়ান অপারেশন করেন ওই হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার। অপারেশনের পর নবজাতকের অবস্থা খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তিন দিন আইসিইউতে থাকার পর শুক্রবার মারা যায় নবজাতক শিশুটি।
এদিকে অপারেশনের চার দিন স্বপ্ন ছোঁয়া প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত সোমবার ময়না খাতুনকে রিলিজ করে দেওয়া হয়। এরপর বুধবার সকালে ময়না খাতুনের শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে পুনরায় ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে দুপুরে শারিরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়।
স্বপ্ন ছোঁয়া প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক আব্দুল হামিদ জানান, কোটচাঁদপুরের ডাক্তার রাকিব ওই রোগীর অপারেশন করেছেন। অপারেশনের চারদিন পর ওই রোগীকে রিলিজ করে দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে ওই রোগীর একলামসিয়া রোগের লক্ষন দেখা দিলে এখানে নিয়ে আসে। পরে প্রার্থমিক চিকিৎসা দিয়ে নিজে নিয়ে গিয়ে ওই রোগীকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দিয়ে আসি। পরে সেখানে তিনি মারা যান।
তিনি আরো বলেন, পেটের ভিতরের পানি শুকিয়ে হাঁফসিয়ে ওই রোগীর শিশু বাচ্চাটি আগেয় মারা গিয়েছিল।
Leave a Reply