ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার দারিয়াপুর বাজার ওয়াপদা রোডে মুক্তা মার্কেটে অবস্থিত ডিজিটাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে রক্তের গ্রুপ ভুল রিপোর্টের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী মোঃ বকুল শেখ (৩৫), পিং মৃত আব্দুর রহিম, গ্রাম-গোয়ালপাড়া, থানা-শ্রীপুর, জেলা-মাগুরা। আমার স্ত্রী রোজিনা (৩০) গর্ভবর্তী অবস্থায় চেকআপের জন্য গত ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখ বেলা ১০:৩০ টার সময় পারিবারিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডিজিটাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, শ্রীপুর, মাগুরাতে (SEROLOGY REPORT, URINE ANALYSIS REPORT, HAEMATOLOGY REPORT, ULTRASONO REPORT) ইত্যাদি সম্পন্ন করায়। উল্লেখ্য যে, গত ১২.০৬.২০২৪ইং তারিখ বুধবার সকাল ১০:০০ টার সময় আমার স্ত্রীকে নিয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায় এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সমস্ত রিপোর্ট দেখে উক্ত হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য পরামর্শ দেন। এবং ১৩,০৬,২০২৪ইং তারিখে সিজারের তারিখের কথা জানিয়ে দেন। সে অনুযায়ী রক্ত সংগ্রহের পরামর্শ দেন। সিজারের সময় রক্তের প্রয়োজন দেখা দিলে তথাকথিত ডিজিটাল হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী (B-Positive) রক্তদাতা সংগ্রহ করি। তখন দায়িত্বরত ডাক্তার উভয়ের রক্ত ম্যাচিং করার মুহুর্তে আরেকবার রক্তের গ্রুপিং করতে বলেন। সে অনুযায়ী আমি মাগুরার, শ্রীপুরের দ্বারিয়াপুর জননী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায় ও রক্তের গ্রম্প “বি-নেগিটিভ” আসে (রিপোর্টের কপি সংযুক্ত)। তখন আমি তাৎক্ষনিক ডাক্তারকে উভয় ল্যাবের রিপোর্ট দেখায়। তিনি সঠিক রিপোর্ট পাওয়ার জন্য আরও একটি ল্যাবে রক্তের গ্রুপিং চেক আপের পরামর্শ দেন আমি আবারও মাগুরার, শ্রীপুরের দ্বারিয়াপুর লং লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার হতে রক্তের গ্রুপ চেক আপ করি সেখানেও (B-Nagative) হয়। তখন আমি হত্যাশাগ্রস্থ হয়ে আমার স্ত্রীকে অপারেশন থিয়েটারে সিজার চলাকালীন বিভিন্ন জায়গায় রক্তের সন্ধান করতে ব্যর্থ হয়ে কান্নাকাটি করতে থাকি। অদ্য সারাদিনেও জীবন সংকটাপন্ন ও রক্তহীন অবস্থায় আমার স্ত্রী হাসপাতালে মরণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ৩০.০৪.২০২৪ইং তারিখের রিপোর্ট যদি সঠিক হতো তাহলে আজ আমার স্ত্রীর এ দুরবস্থা হতো না। এমনকি এই ডিজিটাল হাসাপাতালের রক্তের গ্রুপ রিপোর্ট ভুলের কারণে আল্লাহ নাকরুক আমার স্ত্রী ও গর্ভে থাকা সন্তানের মৃত্যুও হতে পারতো। আমার মতো আর কোন অসহায় মানুষ যেন এই ভুয়া রিপোর্ট নিয়ে মরনের দরজায় না দাড়াতে হয়। আমি এই ভুয়া ডিজিটাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, শ্রীপুর, মাগুরার সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার চাই এবং উক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা কামনা করি।
ঘটনার এবিষয়ে বকুল শেখ জানান, ডিজিটাল হাসপাতালকে এক কর্মকর্তা শিখিয়ে দিচ্ছে যে রক্তের গ্রুপ প্রিন্ট দিতে ভুল হয়ে গেছে। এছাড়াও ডাঃ জ্যোতি তার নিজের সার্টিফিকেট নিয়ে ঝামেলা আছে।
এবিষয়ে মাগুরা সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা হায়াত আলী জানান, গত বৃহস্পতিবার ২৭ জুন অভিযোগের ভিত্তিতে বোর্ড পরিচালনা করা হয়।
Leave a Reply