নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি কৃষকদল মাগুরা জেলা শাখার অধীনস্থ মাগুরা পৌর কৃষকদলের (প্রস্তাবিত) কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ ওয়াজেদ আলী (৫০) গতকাল বুধবার ২৮ আগস্ট সকাল ৯ টার সময়ে ডেফুলিয়া বাজারে সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল, বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট বিকাল ৫ টায় চিকিৎসারত অবস্থায় মারা গেছেন। এই সূত্র ধরেই বিকাল থেকে ডেফুলিয়া এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয় পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
মাগুরা জেলা কৃষকদলের আহবায়ক রুবাইয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম হীরা, মরহুম ওয়াজেদ আলীর অকাল মৃত্যুতে গভীরশোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন এবং এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।
মাগুরায় সদর উপজেলার ডেফুলিয়া বাজারে আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে জাতীয়তাবাদী পৌর কৃষক দলের সহ-সভাপতি ওয়াজেদ আলীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী জানান, বুধবার সকালে ডেফুলিয়া বাজারে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৪ জনকে আহত অবস্থায় মাগুরা ২৫০ বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে শিমুল নামের একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা ও ওয়াজেদ আলিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াজেদ আলির মৃত্যু হয়। নিহত ওয়াজেদ আলি (৫০) মাগুরা সদর উপজেলার ডেফুলিয়া গ্রামের তোরাপ আলির ছেলে। মাগুরা জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম হীরা ওয়াজেদ আলির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল বলেন, মৃত্যুর খবর শোনার পর এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছিল। নতুন করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গোপন সূত্রে জানা যায়, ১৫০-২ শত লোকজন নিয়ে ছোটফালিয়া গ্রামের প্রধান ভূমিকায় ছিল মতিয়ার মন্ডল ও তার লোকজন প্রায় ১৫০-২০০ জন ছিলো হামলার সময়। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছোটফালিয়া গ্রামের মতিয়ার মন্ডল (৬০), মমিন মন্ডলের পুত্র রাব্বি মন্ডল, আজিজ মন্ডলের পুত্র ইমরান মন্ডল, মুরাদ মোল্লার পুত্র শের আলী সহ আরও অজ্ঞাত ৪-৫ জন, ডেফুলিয়া গ্রামের ছালেক মোল্লার ৪ পুত্র শিমুল মোল্লা (৩৫), টিটু মোল্লা (৪০), বকুল মোল্লা (৪৫), তালেব মোল্লার পুত্র বাকা মোল্লা (৩০), ছমির উদ্দিনের পুত্র ফিরোজ (৫০), মনির উদ্দিনের পুত্র ছাকা (৭০), তালেব মোল্লার পুত্র আতর মোল্লা (৪০) আক্রমণ করেছে বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন খানের লোকজনের উপর।
মনিরুল ইসলাম জানান, আহত হয়েছে ডেফুলিয়া গ্রামের তুরাপ আলীর ৪ পুত্র কালাম মোল্লা, মনিরুল মোল্লা, সিদ্দিক মোল্লা, সেলিম মোল্লা, টিপু মোল্লার পুত্র জুয়েল মোল্লা, আজম বিশ্বাসের ২ পুত্র টিপু বিশ্বাস, লিটন বিশ্বাস, সেলিমের পুত্র তাজ, বাগু বিশ্বাসের ২ পুত্র বসির ও ফছিয়ার, তোবারক মোল্লা। তিনি আরও বলেন, ওয়াজেদ আলী মোল্লার ময়না তদন্তের পর থানায় মামলা করা হবে।
নিহত ওয়াজেদ আলীর বোন বেলী বেগম জানান, ২৮ আগস্ট সকালে ডেফুলিয়া বাজারের মাসুদের চাতালের সামনে আমার ভাই ওয়াজেদ আলীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তদের দল। আমার ভাবি ছবেদা খাতুন এখন ২ পুত্র সাহাবুদ্দিন (২৬) ও কন্যা মরিয়ম (১৩) কে নিয়ে অসহায় ও এতিম হয়ে গেলো। তিনি আরও বলেন, আমরা এই নৃশংসভাবে হত্যার বিচার চাই।
Leave a Reply