ফারুক আহমেদ, মাগুরা জেলা প্রতিনিধি : মাগুরার শালিখা উপজেলার শালিখা ইউনিয়নের হাজরাহাটি এলাকায় মশিয়ার রহমান শেখের ৬ শতাংশ জমিতে অবৈধউপায়ে জোরপূর্বক দোকান-ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। জমির মালিক মোঃ মশিয়ার রহমান শেখ পিতা- ছলেমান শেখ, গ্রাম- হাজরাহাটি, ইউপি- শালিখা, থানা- শালিখা মাগুরা। জমির গ্রহীতা ৯.৫৬০ শতাংশ নবিরন নেছা পিতা- মৃত হাসিম সরদার, স্বামী- এলাহী মোল্লা, গ্রাম- কাতলী, ইউপি- শতখালী, থানা- শালিখা মাগুরা। কবলা দলিল নং- ৩৬৯৭/২০২৩ ও রেজিষ্ট্রেশন তারিখ ১১/১০/২০২৩ তারিখ। দানকৃত জমি ৫ শতাংশ দলিল নং- ৩৬৯৮/২০২৩ হাজরাহাটি রাহিমিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা। এসএ ৯৮৯ নং খতিয়ান আরএস ১/১, ১১৯৯ এবং আর এস ১৪৪৫ দাগের ২০ শতাংশ জমির মধ্যে ৯.৫৬০ শতাংশ জমি নবিরন নেছা ও ৫ শতাংশ জমি রাহিমিয়া মাদ্রাসার নামে আর বাকি সাড়ে ৫ শতাংশ মশিয়ার রহমান শেখের নামে আছে। গত ২৪/০৬/২০১৯ তারিখে বিচারক যুগ্ম জেলা জজ ল্যান্ড সাভে ট্রাইব্যুনালে মশিয়ার রহমান শেখের পক্ষে আদেশ অত্র রেকর্ড ২য় আর এস ১/১ ও ১৩৫৭/২০১৬ এলএসটি ডিক্রিতে মশিয়ার রহমান শেখের পক্ষে।
এসএ ৯৮৯ নং খতিয়ান ভুক্ত জমিতে হাজারী লাল অধিকারী এর নামে লিপিবদ্ধ থাকাবস্থায় মৃত্যুবরন করলে তার কন্যা নিভা রাণী অধিকারী এর নিকট হইতে গত ৩০/১১/২০০৮ তারিখে সোলেমান শেখ এর নামে কবলা দলিলে প্রস্তুত করাইয়া উক্ত দলিলে রেজিস্ট্রার না করে চলে যায়। তাহাতে গত ১৬/০৩/২০০৯ তারিখে সহকারী জজ আদালত শালিখা গ্রহিতা বরাবর ৬০২ নং কবলা দলিলে রেজিস্ট্রি হয়েছে।
জমির মালিক মশিয়ার রহমান শেখ জানান, আমার ৬ শতাংশ জমির উপর অবৈধভাবে জোরপূর্বক দোকান ঘর নির্মাণ করার জন্য কাতলী গ্রামের এলাহি মোল্লা লোকজন নিয়ে মাটি খনন করে গর্ত করে ঢালাই কাজের চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, বাঁধা দিতে গেলে আমাদের পরিবারের সবাইকে খুন ও জখমের হুমকি ধামকি দিচ্ছে।
এলাহি মোল্লা জানান, সোলেমান শেখ অনেক বছর পূর্বে ১৬ শতাংশ জমির বায়না নামা করেছে কিন্তু জমির দলিল রেজিষ্ট্রি হয়েছে ৯.৫৬০ শতাংশ।
গোপন সূত্রে জানা যায়, শালিখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ইতিমধ্যে জমির বিষয় নিয়ে কথা উঠেছে এবং কাজ বন্ধ আছে।
Leave a Reply