অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রম তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সমাজে এখনো কিছু চ্যালেঞ্জ আমাদের রয়েছে। বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং অনেক কমে গিয়েছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা বাঁচাতে পারবো না। সেখানে আমাদের কাজ করতে হবে।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২২ উপলক্ষে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে আমরা যখন কঠিন সমস্যার মুখে পড়েছি, তখন প্রধানমন্ত্রী সর্বস্তরের জনতাকে আহ্বান করেছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য। সে সময় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সমাজকে আরও কীভাবে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন বানানো যায়, সেটার উদাহরণ এখন সর্বত্র।
‘করোনা মহামারির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যুব সমাজের কাজ ছিল না। সে সময় কিশোর গ্যাং তৈরি হয়েছিল মোড়ে মোড়ে। সেটার একটা কু-প্রভাব এখনো রয়েছে। সেখানেও আমাদের কাজ করতে হবে।’
আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, আগে গ্রামে একটা বিচারের ব্যবস্থা ছিল, কমিউনিটি পুলিশিংয়ের লক্ষ্যটাও ঠিক ওরকমই। আমরা নিজেরা যদি নিজের সমস্যাটুকু সমাধান করতে পারি ক্রাইম অনেকটা কমে যাবে। আর পুলিশতো সব সময়ই রয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রথম ক্ষমতা গ্রহণ করেন তখন আপনারা দেখেছেন পাহাড়ি এলাকায় কী অবস্থা ছিল। সেখানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলতো। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে আভিযানের পাশাপাশি তাদের আত্মসমর্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগও দিয়েছি। এরপর থেকেই পাহাড়ি এলাকায় শান্তির সুবাতাস বইছে।
তিনি বলেন, এই সরকারের সময় যেভাবে সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমন করা হয়েছে বা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, তা বিশ্বব্যাপী আজ প্রশংসিত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কমিউনিটি পুলিশের সদস্যদের সমন্বয়ে আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ সফলভাবে দমন করেছি।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পুলিশই জনতা, জনতাই পুলিশ। মিলে-মিশে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। এখন প্রতিমাসে সারাদেশে প্রতি থানায় ওপেন হাউস ডে পালন করা হয়। যেখানে সাধারণ মানুষ পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন, তাদের সমস্যা তুলে ধরেন।
২০১৩ সালে পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) অপারেশনসের অধীনে পৃথক শাখা হিসেবে কাজ শুরু করেছিল কমিউনিটি পুলিশিং। ২০১৪ সালে একজন সহকারী মহাপরিদর্শকের (এআইজি) তত্ত্বাবধানে পাবলিক সেইফটি অ্যান্ড প্রিভেনশন (পিএস অ্যান্ড সিপি) শাখার কার্যক্রম শুরু হয়। এটিই এখন কমিউনিটি অ্যান্ড বিট পুলিশিং নামে কার্যক্রম চালাচ্ছে।
ডিএমপির বিদায়ী কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অতিরিক্ত আইজিপি আতিকুল ইসলাম।
মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
Leave a Reply