অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একটি চীনের সামরিক যুদ্ধবিমান বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন যুদ্ধবিমানের ১০ ফুটের মধ্যে চলে এসেছিল। মার্কিন বিমানটিকে তখন আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় সংঘর্ষ এড়াতে কৌশলগতভাবে সরে আসতে হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ভয়েস অব আমেরিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন সাগরে বিতর্কিত আকাশে চীনের সামরিক বিমানের ক্রমবর্ধমান বিপজ্জনক আচরণের সাম্প্রতিক প্রবণতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করার পরে এই খবর আসে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২১ ডিসেম্বরের ঘটনায় যে বিমানটি মার্কিন ফাইটার জেট আরসি-১৩৫ এর কাছে এসেছিল সেটি ছিল একটি চীনের নৌবাহিনীর ফাইটার জেট জে-১১। আমরা বিশ্বাস করি, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সমস্ত দেশ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক আকাশসীমা ব্যবহার করবে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, চীনের বিমানটি ডানার ১০ ফুট এবং মার্কিন বিমানের নাকের ২০ ফুটের মধ্যে চলে এসেছিল। সংঘাত এড়াতে তখন মার্কিন যুদ্ধবিমানটিকেই সরে যাওয়ার কৌশল নিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যেই চীন সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছে।
মন্তব্যের জন্য চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিন্তু তারা তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বেইজিং অতীতে একাধিকবারই ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে জানিয়েছিল, দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন জাহাজ ও বিমান শান্তির জন্য ভালো নয়।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মতে, তাদের বিমান ও জাহাজগুলো আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এই অঞ্চলে নৌচলাচল ও নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চীন দক্ষিণ চীন সাগরের একটি বড় অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে।
তাদের দাবিকৃত জলসীমার মধ্যে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন দ্বারা দাবি করা ‘এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য লেনদেন হয় এসব পানি দিয়ে, সাগরের এই অঞ্চলটি মাছ ও গ্যাসের আধার হিসেবেও পরিচিত।
Leave a Reply