অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আলভারেজের জোড়া গোলের সঙ্গে লিওনেল মেসির এক গোলে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে ফাইনালে চলে গেল আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত ১টায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে গত আসরের রানার্স-আপ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা।
খেলার ৩২তম মিনিটে পেনাল্টি স্পট থেকে লিওনেল মেসির এক গোল আর আলভারেজের করা দুর্দান্ত গোলে প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে এসে লিওনেল মেসির দুর্দান্ত এক পাস থেকে ডি বক্সের ছয় গজের ভেতর থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আলভারেজ। আর তাতেই ফাইনালের টিকিট কাটে আর্জেন্টিনা।
ক্রোয়েশিয়া এদিন দেখল নিজের দিনে ঠিক কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন লিওনেল মেসি। বল পায়ে দুর্দান্ত ছিলেন তিনি। আর তার সঙ্গে জ্বলে ওঠেন তরুণ স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ। আর সেই আগুনেই পুড়ে ভস্ম ক্রোয়াটরা। লুকা মদ্রিচদের গুঁড়িয়ে ফাইনালে লিওনেল স্কালোনির দল।
ম্যাচের তখন ৩১তম মিনিটের খেলা চলছে। মধ্যমাঠ থেকে এনজো ফার্নান্দেজের পাওয়া দারুণ এক থ্রু বলে প্রতি আক্রমণে ওঠেন হুলিয়ান আলভারেজ। বল নিয়ে ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সে ঢুকে শট নেওয়ার আগে গোলরক্ষক লিভাকোভিচের ধাক্কায় পড়ে যান তিনি। আর তাতেই রেফারি লেভাকোভিচকে হলুদ কার্ড দেখানোর সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশিও বাজান। এরপর স্পটকিক থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন লিওনেল মেসি। আর আর্জেন্টিনা এগিয়ে যায় ১-০ গোলের ব্যবধানে।
এর মাত্র মিনিট পাঁচেক পর ডি বক্সের সামনে থেকে বল পেয়ে প্রতি আক্রমণে ওঠে আর্জেন্টিনা। মধ্যমাঠ থেকে ক্রোয়াট খেলোয়াড়দের ড্রিবল করে বেরিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন আলভারেজ। আর এরপর লিভাকোভিচের মাথার ওপর দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দুর্দান্ত এক গোল করেন আলভারেজ। আর তাতেই আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে এগিয়ে যায়।
ম্যাচের শুরু থেকেই ক্রোয়েশিয়াকে চেপে ধরে আর্জেন্টিনা। বল দখলে রাখার লড়াইটাও ক্রোয়াট মিডফিল্ডারদের বিরুদ্ধে ভালোই করতে থাকে লিওনেল মেসিরা। তবে দারুণ আক্রমণ করতে থাকে ক্রোয়েশিয়াও। ১০ মিনিটের মাথায় পেরিসিচের লম্বা করে বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সে ঢুকেও রোমেরোর সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে হেরে যান পাসালিচ।
ম্যাচের ৩২ আর ৪০তম মিনিটে মেসি ও আলভারেজের দুই গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতি থেকে ফিরে আরও ভয়ংকর হয়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। একের পর এক আক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়তে থাকে ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সে। এর মধ্যেই মেসি-আলভারেজ জুটির দুর্দান্ত কম্বিনেশনে আরও এক দুর্দান্ত গোল পেয়ে আলবেসিলেস্তেরা।
ম্যাচের ৬৯ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে ডান পাশ দিয়ে ক্রোয়াট রক্ষককে এলোমেলো করে দিয়ে বল নিয়ে ঢুকলেন মেসি। এরপর গাভারডিওলকে কাটাতে বল নিয়ে গেলেন একেবারে সীমানার কাছাকাছি। সেখান থেকে কাট ব্যাক করে আলভারেজকে পাস বাড়ালেন। এই গোল নষ্ট করার লোক আলভারেজ নন। সেই পাস থেকে দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন আলভারেজ।
এরপরও একের পর এক আক্রমণ করে যায় আর্জেন্টিনা। তবে চতুর্থ গোল আর পায়নি। তবে তাতেও মন এতটুকুই ক্ষুণ্ণ করেনি আলবেসিলেস্তেরা। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের জয় নিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট কাটে লিওনেল মেসিরা।
Leave a Reply