অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাঙ্গামাটির আসামবস্তী–কাপ্তাই সড়কে রোববার রাতে বন্যহাতির আক্রমণে দুই বৃদ্ধা নারী নিহত হয়েছেন। রিজার্ভ ফরেস্টের কামিলাছড়ি বিট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ঝর্ণা চাকমা (৬০) মারা যান, পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুবিতা চাকমা (৭০) মারা যান।
নিহতরা জীবতলী ইউনিয়নের মগবান গোলাছড়ি এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় অনিমেষ চাকমা (২২) ও সিএনজি অটোরিকশা চালক ত্রিজয় চাকমা (২৫) আহত হয়েছেন। হাতির আক্রমণে দু’টি সিএনজি অটোরিকশা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কাপ্তাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কায় কিসলু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জীবতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুদত্ত চাকমা জানান, ঘটনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। সোমবার গ্রামে নিহতদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন জানান, রবিবার সকাল থেকেই রাঙ্গামাটি–আসামবস্তি কাপ্তাই সড়কের বিভিন্ন এলাকায় বন্যহাতির উপস্থিতির খবর পাওয়া যাচ্ছিল। সন্ধ্যায় জানা যায়, একটি সিএনজি অটোরিকশা হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে বনবিভাগ, হাতি রেসপন্স টিম ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান, একটি সিএনজি অটোরিকশা সম্পূর্ণ ভাঙচুর অবস্থায় পড়ে আছে। সেখানে থাকা দুই বৃদ্ধা নারী যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। একজনের মাথায় গুরুতর জখম ছিল, অন্যজন সড়কের পাশের খাদে পড়ে ছিলেন। তাদের রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে ঝর্ণা চাকমার মৃত্যু হয়। অপরজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রাখা হলেও রাতেই সুবিতা চাকমা মারা যান।
ওমর ফারুক স্বাধীন আরও জানান, উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়ার সময় বনবিভাগের সদস্যরাও বন্যহাতির আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েন। পরে কাপ্তাই ১০ আরই সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত সিএনজি অটোরিকশা ও অন্যান্য যানবাহনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।