অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামীকাল শনিবার। তবে সমাবেশকে ঘিরে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দুদিন আগে থেকেই নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন রাজশাহীতে। তারা অবস্থান নেন সমাবেশস্থলের পাশে ঈদগাহ মাঠে।
ঈদগাহ মাঠে সমাবেশে আসা হাজার হাজার নেতাকর্মীদের জন্য সকাল থেকে রান্না করা হচ্ছে। এ জন্য অস্থায়ীভাবে ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।
সেগুলোতে রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন।
শুক্রবার সকালে দেখা যায়, ক্যাম্পে ক্যাম্পে চলছে রান্না ও খাবারের আয়োজন। ক্যাম্পগুলোতে মজুদ করে রাখা হয়েছে চালের বস্তা, তেল ও রান্নার সামগ্রী। কয়েকজন নারীকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ কাটতে দেখা যায়।
প্রতিটি ক্যাম্পেই বড় বড় ডেকচিতে রান্না হচ্ছে গরুর মাংস, খাসির মাংস, মুরগির মাংস, ডিম, সবজিসহ আরও নানা রকমের খাবার। একসঙ্গে রান্না, খাওয়া ও আড্ডা দেওয়াসহ সব মিলিয়ে সেখানে এখন উৎসবমুখর বনভোজনের পরিবেশ বিরাজ করছে।
আগামীকাল রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পাশেই অবস্থিত ঈদগাহ মাঠটি। বৃহস্পতিবারই মাঠটি ভরে গেছে তাঁবুতে। পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত বিশালকার এ মাঠটি জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে অন্তত দুই শতাধিক তাঁবু।
ঈদগাহ মাঠ ঘিরে সেখানে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী দোকানপাট। কেউ রাস্তার পাশের দোকান থেকে চা-সিগারেট, পানসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনে খাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ তাঁবুর ভেতরে বসেই তাস খেলাতে মেতে উঠেছেন। কোনো কোনো গ্রুপ ভাগ হয়ে মিছিল করছেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুকে ঘিরে পাবনার একটি গ্রুপ মিছিল বের করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নেতারা মোটরসাইকেল বহর নিয়ে মিছিল করতে করতে ঈদগাহ মাঠে এসে পৌঁছান।
ঈদগাহ মাঠের ভেতরে দেখা যায়, বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য দুপুরের খাবার রান্না হচ্ছে আলাদা আলাদাভাবে। কোথাও ভাত, তরকারি, কোথাও বিরিয়ানি, আবার কোথাও খিচুড়ি রান্না হচ্ছে। অন্তত ৩০-৪০টি চুলায় চলছে রান্না। বিএনপি নেতাকর্মীরাই নিজেদের মতো করে উৎসবমুখর পরিবেশে রান্নায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
বিএনপির গণসমাবেশ সমন্বয় কমিটির আপ্যায়ন উপ-কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাফিকুল ইসলাম শাফিক বলেন, নেতাকর্মীদের বিশ্রামের জন্য দুইশ’র বেশি তাঁবু ডাঙ্গানো হয়েছে। এছাড়াও তাদের খাবারের প্রায় ৪০টি চুলা করা হয়েছে। সেগুলোতে রান্না হচ্ছে।
Leave a Reply