অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাস বিনিময় চুক্তি করা সম্ভব হলে ইরান বছরে অন্তত ৬০০ কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে বলে ইরানের জ্বালানী এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সম্ভাব্য গ্যাস বিনিময় চুক্তিতে বলা হয়েছে, ইরান তার নিজের গ্রাহকদের ব্যবহার করার জন্য উত্তর সীমান্ত দিয়ে রাশিয়ার গ্যাস আমদানি করবে এবং একই পরিমাণ গ্যাস দক্ষিণের বন্দর দিয়ে রাশিয়ার গ্রাহকদের হাতে তুলে দেবে।
ইরানের নিজস্ব তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর বেশিরভাগ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত। ফলে এখান থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলে পাইপলাইনের মাধ্যম গ্যাস পাঠাতে এক হাজারের বেশি কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে হয় যা বেশ ব্যয়বহুল।
ইরানের জ্বালানী এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ বলছে, রাশিয়ার সঙ্গে গ্যাস বিনিময় বা আমদানি চুক্তির আওতায় যদি রাশিয়ার অতিরিক্ত গ্যাসের শতকরা ১৫ ভাগও উত্তর সীমান্ত দিয়ে দেশে আনা সম্ভব হয় তাহলে বছরে ইরানের পক্ষে ৬০০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচানো সম্ভব হবে। তাও আবার এই পরিসংখ্যানে রাশিয়ার গ্যাস রপ্তানি করে দেয়া বাবদ ইরান যে ট্রানজিট ফি আদায় করবে তা ধরা হয়নি।
বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, দেশের উত্তরাঞ্চলের গ্রাহকদের পাশাপাশি সেখানকার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে অভ্যন্তরীণ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা সম্ভব হলে দক্ষিণাঞ্চল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়াতে পারবে ইরান।
তুর্কমেনিস্তান ও আজারবাইজানের ভেতর দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার কাছ থেকে বছরে ৩০০ কোটি ঘনমিটার গ্যাস আমদানি করে তা ব্যবহার করার মতো সামর্থ্য ইরানের রয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের কারণে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ফলে চলতি বছরের গোড়ার দিক থেকে রাশিয়ার কাছে প্রচুর পরিমাণ উদ্বৃত্ত গ্যাস রয়েছে। ওই গ্যাস ইরানের উত্তরাঞ্চলের গ্রাহকদের ব্যবহারের জন্য আমদানি করার ব্যাপারে গত কয়েক মাস ধরে মস্কোর সঙ্গে তেহরানের আলোচনা চলছে। শিগগিরই রাশিয়ার সঙ্গে ইরানের এ সংক্রান্ত চুক্তি সই হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
Leave a Reply