অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : টিকিট কালোবাজারি চক্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, যদি একজন দালালকেও পাই, যার কারণে রেলের যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তাহলে ওই দালালের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই টিকিট কালোবাজারির বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব।
তবে কেউ প্রকাশ্যে নেই। যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ নিয়মতান্ত্রিকভাবে ট্রেনে চলাচল করুন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নেবেন না।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদযাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ ও স্টেশনে সার্বিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা ছিল এবার যেন যাত্রীরা নির্বিঘ্নে, সুষ্ঠুভাবে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, পরিবার পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। সেই লক্ষ্যে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য র্যাব বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। টিকিট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। যারা দুষ্কৃতকারী, যারা এই ঈদকে ঘিরে হাজার হাজার টিকিট কালোবাজারির পরিকল্পনা করছিল, তাদের শতাধিকজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আমরা কিন্তু কাউকে ছাড় দেইনি। যারা এই অপকর্মে জড়িত, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, দেশের বড় বড় স্টেশনগুলোতেও অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। র্যাবের সকল ব্যাটালিয়ন কাজ করছে। অ্যাপসে শতভাগ টিকিট বিক্রি, এটা রেলওয়ের ভালো সিদ্ধান্ত। তবে এরও সুযোগ নিয়েছে এক শ্রেণির অসাধু চক্রের সদস্যরা। র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ স্টেশনে যাত্রীদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তারা সন্তুষ্ট। এজন্য ধন্যবাদ পেতে পারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষও। তারা বেশ সতর্ক ছিল। ঈদকে ঘিরে বিভিন্ন রেলস্টেশনে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঈদযাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন বাহিনীর নিরাপত্তা কর্মীরা নিয়োজিত আছেন। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে র্যাবও কাজ করছে। যদি সহযোগিতা করেন তাহলে আপনার লাভ, আমার লাভ, দেশের লাভ, সবার লাভ। যাত্রায় সময় নিন, কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে গমন করবেন না। আপনার যাত্রা নিরাপদ করুন। আপনাদের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নিশ্চিত করতে রেলওয়েসহ সকল নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা বদ্ধপরিকর।
ঈদযাত্রায় নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে কি না জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে নিশ্চিত হয়, সেজন্য র্যাব নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, গোয়েন্দারা কাজ করছে, সাইবার জগতেও রয়েছে নজরদারি। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা ও বাহিনীর সঙ্গে তথ্য সমন্বয় করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে আমরা বসে নেই, প্রস্তুত আছি। যাতে করে ঈদে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা যায়।
Leave a Reply