19 May 2024, 11:22 pm

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে ও সেখানে তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের উচিৎ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপায় বের করা, যাতে তারা স্বদেশে ফিরে গিয়ে সেখানে একটি সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে।’

যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ বিষয়ক সর্বদলীয় সংসদীয় দলের (এপিপিজি) ভাইস চেয়ার ও ইন্দো-ব্রিটিশ বিষয়ক এপিপিজি-র চেয়ার বীরেন্দ্র শর্মা এমপি’র নেতৃত্বে যুক্তরাজ্যের ক্রস পার্টি একটি পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীল সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচরাইটার এম. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই যুক্তরাজ্য সংসদীয় দলের প্রথম সফর।
বৈঠককালে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৭ সালে অমানবিক নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গাদের ব্যাপকভাবে দেশত্যাগের পর বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হলেও, ছয় বছর অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এই লক্ষ্যে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

কোভিড-১৯ মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বৈশ্বিক আর্থিক সহায়তা কমে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সুতরাং রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের মতো একটি ছোট দেশের জন্য বিশাল বোঝা হয়ে উঠছে।’

পাঁচ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- প্রাক্তন টেক ও ডিজিটাল অর্থনীতির কনজারভেটিভ মন্ত্রী পল স্কুলি, এমপি, ইউকে হাউস অফ কমন্স সিলেক্ট কমিটির মেম্বার ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স নীল কোয়েল, এমপি, হাউস অফ কমন্সের বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যান্ড্রু ওয়েস্টার্ন, এমপি এবং হাউস অফ কমন্সের সিনিয়র সংসদীয় সহকারী ডমিনিক মফিট।

শেখ হাসিনা বলেন, জোরপূর্বক দেশ থেকে বিতারিত করার সময় বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার গর্ভবতী নারী ছিল। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ প্রাথমিকভাবে তাদের খাদ্য ও আশ্রয় দিয়েছে।

‘ছয় বছর অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমার তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য বাস্তবসম্মত কিছুই করেনি। যদিও, তারা আগে তা করতে রাজি হয়েছিল। ফলে, মিয়ানমারের নাগরিকরা বাংলাদেশের ক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করছে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
‘এমনকি রোহিঙ্গারাও এখন অপরাধমূলক কর্মকা-ে লিপ্ত হচ্ছে-যার মধ্যে মাদক, অস্ত্র ও মানব পাচার এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও রয়েছে যেগুলো থেকে কখনও কখনও রক্তপাতও ঘটছে,’ তিনি যোগ করেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ভাসানচর দ্বীপে সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।
তিনি বলেন, ‘কিছু রোহিঙ্গাকে ইতোমধ্যে ভাসানচরে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আমরা তাদের জন্য খাবার, চিকিৎসা সুবিধা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি বলে তারা সেখানে অনেক ভালো আছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গারা কয়েকটি ছোট ছোট দলে বিভক্ত। এক দল ভাসানচরে যেতে চাইলে আরেক দল বাধা দেয়।
প্রতিনিধি দল মিয়ানমার থেকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের উদার আতিথেয়তা ও দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে তাদের সমর্থন পুনর্নিশ্চিত করতে ৩০ জানুয়ারি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সচিব এম সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধি দলটির আগামী ৩১ জানুয়ারি লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 4550
  • Total Visits: 750760
  • Total Visitors: 2
  • Total Countries: 1127

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ রবিবার, ১৯শে মে, ২০২৪ ইং
  • ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
  • ১১ই জ্বিলকদ, ১৪৪৫ হিজরী
  • এখন সময়, রাত ১১:২২

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
  12345
20212223242526
2728293031  
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018