অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে বিএনপি নেতা আবুল কালামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করার পর অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে ‘আউট’ লিখে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পরিবার অভিযুক্ত ওই ছাত্রদলের সদস্য কাউছার হোসেনকে দায়ী করেছেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ মোস্তফার দোকান এলাকায় আবুল কালাম নিহত হন। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে ছিলেন অভিযুক্ত কাউছার। এরপর রাত ৯টার দিকে তিনি ক্রিকেট খেলার একটি ভিডিও পোস্ট করে ফেসবুকে ‘আউট’ লিখেছেন। নিহতের পরিবার অভিযোগ করছে, এটি হত্যা ঘটনাকে ইঙ্গিত করেই দেওয়া হয়েছে।
কাউছার হোসেন জানিয়েছে, ভিডিওটি তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তিনি লতিফপুর বাজারের মোস্তফার দোকানে ছিলেন এবং কালাম ভাই বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার সঙ্গে বাজারে ঘোরাফেরা করেছেন।
নিহত আবুল কালামের স্ত্রী ফেরদৌসী আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামীকে খুন হওয়ার পর কাউছারের পোস্ট করা ভিডিওটি কাকতালীয় নয়। এটি হত্যার ঘটনাকে ইঙ্গিত করেই করা হয়েছে।’
ঘটনার পর রাত ১০টার দিকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি তিন দিনের মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানান। এ্যানি বলেন, ‘যারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ব্যক্তিগত বিরোধে কাউকে নির্মমভাবে হত্যা করা গ্রহণযোগ্য নয়।’
এদিকে, ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও কোনো মামলা দায়ের হয়নি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে রাখা আছে। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ফয়েজুল আজীম জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে কাউছার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার ফেসবুক পোস্টও পুলিশের নজরে এসেছে। পুলিশ ধারণা করছে, চার-পাঁচজন মিলিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।