অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ডাকাতি ও স্বর্ণালংকার লুন্ঠনের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি পাইপগান, দুটি শাবল, তিনটি দা ও ঊনিশ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃত ৭ জন আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের ছানা উল্যার ছেলে খোরশেদ আলম টিপু (৩৭), ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়ার মহিষচর গ্রামের নূর নবীর ছেলে নূর কাশেম মোহন (২৬), ভোলার তজুমুদ্দির দক্ষিণ চাচড়া গ্রামের সোলো মাঝির ছেলে ইউছুফ (৩৫), নোয়াখালীর সুবর্ণচরের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে ফারুক (৪০), বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়রে বড় মেহেদীপুর গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে মুরাদ হোসেন (২৫), সদর উপজেলার দাউদপুর গ্রামের মনশাদ হানিফের ছেলে রুবেল (২৬) ও সেনবাগের গাজীরহাট গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছেলে নূর ইসলাম (৩৫)।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ অক্টোবর রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড পূর্বপাড়া চাঁদ মিয়া বেপারি বাড়ির জাকির হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতিকালে ১০-১৫ জনের একদল ডাকাত ওই বাড়ির জাকিরের বসতঘরের দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে লোকজনকে জিম্মি করে ফেলে।
পরে ডাকাতদল ওই ঘর থেকে প্রায় ৩১ ভরি স্বর্ণ, দুটি ডায়মন্ড সেট, নগদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩৭ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগি।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ও সোনাইমুড়ী থানার ওসি জিয়-উল হকের নেতৃত্বে রোববার রাতে নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রামের পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭ ডাকাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্বর্ণের দোকান থেকে লুণ্ঠিত স্বর্ণ ও তাদের হেফাজত থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তরকৃতদের সোমবার দুপুরে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply