অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়া শীতকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ। রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে সোমবার (২৮ নভেম্বর) সদস্যদেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া সম্ভবত ইউক্রেনের পাওয়ার গ্রিড, গ্যাস অবকাঠামো এবং জনগণের জন্য মৌলিক পরিষেবাগুলোতে আক্রমণ চালিয়ে যাবে বলে সোমবার বলেছেন ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।
ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের দুই দিনের সম্মেলনের আগে বুখারেস্টে এক সংবাদ সম্মেলনে স্টলটেনবার্গ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যখন শীত মৌসুমে প্রবেশ করছি, তখন ইউক্রেনের বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য অবকাঠামোতে রাশিয়ার এই হামলা এটাই প্রমাণ করে যে, প্রেসিডেন্ট (ভ্লাদিমির) পুতিন এখন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অস্ত্র হিসাবে শীতকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন।’
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর দশ মাস হতে চলল। সামনে তীব্র শীতের মৌসুম। এ সময় ইউক্রেনের মানুষ ভয়াবহ চাপের মধ্যে পড়ে যাবে। কারণ, একে তো শীত, সেই সঙ্গে যুদ্ধ; ফুরিয়ে আসবে জীবনধারণের রসদ।
সম্প্রতি ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার হামলাগুলো ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে। সেসব হামলায় রাজধানী কিয়েভসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। বোমা বিস্ফোরণগুলো এতটাই মারাত্মক ছিল যে, পার্শ্ববর্তী মলদোভার কিছু অংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এর মধ্যে গত মাসে অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তম বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণ সাগরে রুশ নৌবহরে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর বেশ কয়েক দফায় ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়া কার্যত ক্ষেপণাস্ত্র বৃষ্টি চালায়।
বিবিসি বলছে, যুদ্ধ শুরুর পর সম্প্রতি ইউক্রেনে সবচেয়ে ভারী বিমান হামলা চালায় রাশিয়া। ওই হামলায়ও ইউক্রেনীয় জ্বালানি অবকাঠামো এবং বেসামরিক ভবনগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
Leave a Reply