অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শান্তা (২৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী নওশাদ আলম ওরফে মুরাদ।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শান্তা নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার জুয়েল মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী নওশাদ শেরপুরে এসিআই কোম্পানির মেডিকেল প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
জানা গেছে, প্রায় ৫ মাস আগে পারিবারিকভাবে শান্তার সঙ্গে নওশাদের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা শেরপুর শহরের গরুহাটি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় শান্তাকে তার স্বামী নওশাদ একটি রিকশায় শেরপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। সেখানে চিকিৎসক শান্তাকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। তখনই নওশাদ পালিয়ে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
জেলা সদর হাসপাতালের আরএমও হুমায়ুন আহমেদ নুর জানান, নিহত গৃহবধূর গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছিল।
এ ব্যাপারে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক হাসান বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছি। তদন্ত শেষে বলা যাবে এটা পরিকল্পিত হত্যা কিনা। এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply