অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : টানা ছয়দিন পর সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন যমুনার চরাঞ্চলের ৩৪ ইউনিয়নের অন্তত ৮৩ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল। বন্ধ রয়েছে ৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৪৯ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় পানির সমতল ১ সেন্টিমিটার কমেছে এখনো বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে রেকর্ড করা হয়েছে ১৫.২৯ মিটার। এই পয়েন্টে পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। এখন দ্রুত পানি নেমে যাবে। এ মাসে আর এ পয়েন্টে পানি বাড়ার শঙ্কা নেই। আর বড় ধরনের বন্যার শঙ্কাও নেই।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৩৪টি ইউনিয়নের বানভাসিদের মাঝে ১০৩ টন চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এখনো মজুদ আছে ১২ শত টন চাল, নগদ ২০ লাখ টাকা ও ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ আছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, বন্যার পানিতে জেলার ৬ হাজার ৪৯৭ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এসব জমির পাট, তিল, কলা ও মরিচ এখন পানির নিচে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, সিরাজগঞ্জে ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। আর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি রোজিনা আক্তার বলেন, জেলার ১৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি উঠেছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানে বন্ধ রয়েছে পাঠদান।
Leave a Reply