অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের পাশাপাশি মারাত্মক বিপর্যয় দেখা যায় সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ওই এলাকায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তরা তাঁবু টানিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু এবার সেখানে ভারি বৃষ্টির পর বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক ডজন ক্যাম্প পানিতে তলিয়ে গেছে। খবর আল-জাজিরার।
সিরিয়ার একটি সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইদলিব প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই সম্প্রতি ভূমিকম্পের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়। সেখানের রাস্তাগুলোও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানান, হাফসারজাহ ও বিশমারুন শহরের ক্যাম্পের বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্লাবিত হয়েছে। তাছাড়া আদওয়ান গ্রামে মার্কেট ধসে পড়েছে।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পের পর সেখানে বেশ কিছু ক্যাম্প তৈরি করা হয়। এক একটা ক্যাম্পে অসংখ্য তাঁবু রয়েছে। এবারের ভারি বৃষ্টিতে ৪০টির বেশি ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সুইস সিসমোলজি সার্ভিসের পরিচালক স্টেফান উইমার জানান, তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত অঞ্চলে যে ধরনের ভূমিকম্প হয়েছে সেটি গত একশ বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
ভূত্বকের টেকটোনিক প্লেটগুলোর নড়াচড়ার কারণে ভূমিকম্প হয়। প্লেটগুলোর আকার পরিবর্তিত হয়। দুটি টেকটোনিক প্লেটের মাঝে আছে ফল্ট লাইন। ভূমিকম্প সাধারণত এই ফল্ট লাইনের আশপাশে হয়ে থাকে। টেকটোনিক প্লেটগুলো ধীরে ধীরে সরে যায় এবং কখনও কখনও সঙ্গে লেগে থাকে আবার কখনও ফল্ট লাইনে কম্পন তৈরি করে। যখন এটি খুব বেশি বৃদ্ধি পায়, তখনই ভয়াবহ ভূ-কম্পন্ন অনুভূত হয়। যেটি তুরস্ক-সিরিয়ায় ঘটেছে।
Leave a Reply