অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : সুইজারল্যান্ড শুক্রবার বলেছে, তারা সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও তার সফরসঙ্গীদের সম্পদ জব্দের ক্ষেত্রে আরও কঠোরতা অবলম্বন করছে।
এক বিবৃতিতে দেশটি বলেছে, নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রের অগ্রগতি সত্ত্বেও সুইজারল্যান্ড থেকে সাবেক আসাদ সরকারের কোনো সম্পদ যেন বেরিয়ে যেতে না পারে সরকার তা নিশ্চিত করতে চায়।
গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের হামলায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে আসাদ এবং তার পরিবারের কয়েক দশকের ক্ষমতার অবসান ঘটে। দেশটিতে বছরের পর বছর ধরে চলা নৃশংস গৃহযুদ্ধে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ নিহত ও লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।
২০১১ সালে সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড সম্পদ-জব্দ ব্যবস্থায় যুক্ত ছিল।
সুইস কর্মকর্তা বার্ন বলেন, সুইজারল্যান্ডে প্রায় ৯ কোটি ৯০ লাখ সুইস ফ্রাঁ (১১ কোটি ২৫ লাখ মার্কিন ডলার) মূল্যের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে, এর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সাবেক আসাদ সরকারের সদস্য ও তাদের সফরসঙ্গীদের।
সরকারের মতে, এই সম্পদগুলো অবৈধ হতে পারে বলে নিশ্চিত করার জন্য তা জব্দে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সিদ্ধান্তের ফলে সিরিয়ার সাবেক সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও পাঁচ ব্যক্তির অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ জব্দ করা সম্ভব হবে।
এই পদক্ষেপের অর্থ হলো- আসাদের কোনও সম্পদ এর বৈধতার বিচারিক তদন্তের আগে সুইজারল্যান্ড থেকে স্থানান্তর হতে পারবে না।
বার্ন বলেন, ভবিষ্যতে যদি ফৌজদারি ও পারস্পরিক সহায়তা কার্যক্রমে দেখা যায় যে সম্পদগুলো আসলে অবৈধ উৎসের, তবে সুইজারল্যান্ড সেগুলো এমনভাবে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবে যাতে সিরিয়ার জনগণ উপকৃত হয়।
এসব পদক্ষেপ এমন ব্যক্তিদের জন্য করা হয়েছে যারা আসাদ পরিবারের অধীনে কোনো সরকারি পদে ছিলেন বা তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
আসাদের পতনের পর সিরিয়ার পুনর্গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে গত মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটির জ্বালানি, পরিবহণ ও ব্যাংকিং খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে।
আসাদ শাসনামলে সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ ২৪টি প্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ব্রিটেন।