বশির আল–মামুন, চট্টগ্রাম : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ছয় দফা আন্দোলনের সূচনা চট্টগ্রাম থেকেই হয়েছে। চট্টগ্রাম বেতার থেকে ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষণা প্রচার করা হয়। অপারেশন জ্যাকপট চট্টগ্রাম বন্দরে হয়েছে। এছাড়াও বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনেও চট্টগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বলা যায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য।
নগরীর পাহাড়তলীস্থ উত্তর কাট্টলিতে মেরিন ড্রাইভ সড়কের পাশে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ ও “বিজয় নিশান” স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে এস এম আল মামুন এম.পি, মোঃ মহিউদ্দিন বাচ্চু এম. পি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব ইসরাত চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আ ম স মাহতাব উদ্দিন, পুলিশ সুপার এস. এম. শফিউল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) এ কে এম সরোয়ার কামাল। এ সময় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম ও থানা মুক্তিযুদ্ধ সংসদের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া প্রায় ২৯ বছর ক্ষমতায় ছিল। আর স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনা মিলে প্রায় সাড়ে ২৩ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছে। আপনারা তুলনা করলে বুঝতে পারবেন কোন দল দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছে। স্বাধীনতার অপশক্তিরা পরাজয়ের গ্লানি ভুলতে পারেনি। তারা এখনো বাংলাদেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এই জায়গাটাও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন স্বাধীনতা বিরোধী বংশধরদের কাছ থেকে উদ্ধার করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করেছে।
তিনি আরো বলেন, যারা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে না তাদের প্রতি আমার ঘৃণা জন্মে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শুধু নিজে ধারণ না করে পরিবারের সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারে সেজন্য মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি ‘বিজয় নিশান’ স্মরণিকার মোড়ক উম্মোচন করেন। এ বইয়ে ১৪ অধ্যায় ও ৩৮১ পৃষ্ঠা সংবলিত অপারেশন জ্যাকপট, বধ্যভূমি, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তরুণ প্রজন্মের ভাবনা ও বঙ্গবন্ধু চর্চা, চট্টগ্রাম আশ্রয়ণ ও বীরমুক্তিযোদ্ধাদের নিবাসের কথা উল্লেখ রয়েছে।
Leave a Reply