অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বর্তমান পৃথিবীর কুখ্যাত লেখক সালমান রুশদির ওপর সম্প্রতি যে হামলা হয়েছে তার ফলে একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি এবং একটি হাত সম্পূর্ণভাবে অকেজো হয়ে গেছে। গত ১২ আগস্ট নিউ ইয়র্কের একটি শিক্ষা কেন্দ্রে হলভর্তি দর্শকের সামনে বক্তৃতা দেয়ার প্রস্তুতিকালে সালমান রুশদির ওপর ওই হামলা হয়।
১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রুশদির চরম নিন্দিত স্যাটানিক ভার্সেস বইটি প্রকাশিত হয়। মহানবী এবং তার স্ত্রীদেরকে নিয়ে চরম আপত্তিকর সব বক্তব্য প্রকাশ করে রুশদি। এ ঘটনায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনী ১৯৮৯ সালে রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। এরপর রুশদি আত্মগোপনে চলে যায় এবং সব সময় পুলিশ প্রহরায় তাকে জীবনযাপন করতে হয়েছে।
আটক হাদি মাতার
গত আগস্ট মাসে হামলার পর তার ছেলে জাফর রুশদি জানিয়েছিল যে, তার বাবার ওপর যে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে তা মারাত্মক এবং জীবনে বড় ধরনের পরিবর্তন এনে দেবে।
এ ঘটনায় হাদি মাতার নামে লেবাননী বংশোদ্ভুত একজন ২৪ বছর বয়সী আমেরিকান নাগরিককে আটক করা হয়। আটকের পর আগস্ট মাসেই কারাগারে থাকা অবস্থায় নিউ ইয়র্ক পোস্ট কে দেয়া সাক্ষাৎকারে হাদি মাতার ইমাম খোমেনীকে মহান ব্যক্তিত্ব বলে উল্লেখ করেন তবে তিনি এ কথা বলেননি যে, ইমাম খোমেনীর ওই ফতোয়া অনুসরণ করে তিনি রুশদির ওপর হামলা চালিয়েছেন।
হাদি মাতার সবসময় বলেছেন, তিনি রুশদিকে পছন্দ করেন না কারণ এই ব্যক্তি ইসলামের ওপর আঘাত হেনেছে। রুশদিকে হত্যা প্রচেষ্টার জন্য হাদি মাতার নিজেকে নির্দোষও দাবি করেছেন।
Leave a Reply