অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : শুধু মাত্র ১০৬ দিনে সম্পূর্ণ কোরআন শরীফ মুখস্থ করেছেন পাবনার ঈশ্বরদীর ১৪ বছর বয়সী ছাত্র হাসানাত রহমান হিমেল। হিমেল উপজেলার দাশুড়িয়ার হাবিবুর রহমান হাবিবের ছেলে এবং জয়নগর দারুল উলুম কওমিয়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার হিফজ বিভাগের ছাত্র।
মাত্র ১০৬ দিনে পবিত্র কোরআনের হিফজ সমাপ্ত করায় হিমেলের প্রতিভাকে সম্মান জানাতে বুধবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনার আয়েজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
অনুষ্ঠানে মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরিফুল ইসলাম।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মজিবুর রহমান মোল্লা, হিমেলের বাবা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
হিমেল জানায়, একদিনে সে সর্বনিম্ন ৩ পৃষ্ঠা থেকে সর্বোচ্চ ২০ পৃষ্ঠা পর্যন্ত মুখস্থ করেছে। এছাড়া একটি পৃষ্ঠা দুই থেকে তিনবার পড়লেই সেটা মুখস্থ হয়ে যেতো। তাছাড়া কুরআন মুখস্থ করতে তার ভালো লাগতো। আল্লাহর ইচ্ছায় এবং আমার প্রচেষ্টায় আমি কোরআন মুখস্ত করতে পেরেছি।
এ বিষয়ে হিমেলের বাবা বলেন, আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই মাদরাসা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ছিল। ছোটবেলা থেকেই নিয়মিত নামাজ কালাম পড়তো। তার এমন আগ্রহ দেখে মাদরাসায় ভর্তি করানো হয়। ভবিষ্যতে যেন হাফেজ হতে পারে এ কারণে ভর্তি করানো হয়। সেই আশা আজ পূরণ হয়েছে। আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া।
মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, ১৪ বছর বয়সী শিশু হাসানুর রহমান হিমেল মাত্র ১০৬ দিন অর্থাৎ ৩ মাস ১৬ দিনে পুরো কোরআনুল কারিম হিফজ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে। এটি আমাদের জন্য গর্বের। আমরা তার জন্য দোয়া করি সে অনেকদূর এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
পাবনা জেলা ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরিফুল ইসলাম বলেন, পবিত্র কোরআনের পাখির সংখ্যা দেশে এভাবেই দিন দিন বেড়ে চলেছে। ৩০ পারা কোরআন পুরোটা বুকে ধারণ করা সহজ কাজ নয়। আল্লাহ যাকে চান তাকে কোরআনের হাফেজ হিসেবে কবুল করেন। হিমেলও তেমনি একজন, যাকে আল্লাহ খুব তাড়াতাড়ি হাফেজ হিসেবে কবুল করেছেন। আল্লাহর অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শুকরিয়া। তার পিতামাতা ও শিক্ষকদের ধন্যবাদ৷
Leave a Reply