ইয়ানূর রহমান : ঢাকা বিমানবন্দরে ২৩ লাখ টাকা সহ আটক বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সেই সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা খন্দকার মুকুল হোসেনের নামে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা করেছে। গতকাল রোববার দুদক সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের
উপ-পরিচালক আল আমিন ঘটনার ৬ মাস পর মামলাটি করেন।
২০২২ এর ২৬ আগস্ট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা খন্দকার মুকুল হোসেনকে আটক করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে বেনাপোল কাস্টম হাউসের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের সখিপুর থানার কাকড়াজান গ্রামে।
মামলা সূত্র মতে, খন্দকার মুকুল হোসেন ২০১০ সালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঢাকাতে ক্যাশিয়ার পদে চাকরিতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের তিনি সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা পদে উত্তীর্ণ হন। তিনি ২০২০ সালের নভেম্বরে বেনাপোল কাস্টম হাউজে যোগদান করেন। এখানে দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে থাকেন। ২০২২ সালের ২৬ আগস্ট সকালে মুকুল হোসেন ঢাকার উদ্দেশে যশোর বিমানবন্দরে আসেন। বোডিং পাসের সময়ে বন্দরের স্ক্যানিং মেশিনে তার বহনকৃত ব্যাগে বিপুল পরিমাণ টাকার উপস্থিতি পায় নিরাপত্তকর্মীরা।
যশোর বিমানবন্দর থেকে বিষয়টি ঢাকা শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরের গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে মুকুলের ব্যাগ তল্লাশি করে ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকার উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসবাদে মুকুল টাকার উৎস বলতে পারেননি। তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার ও অন্যান্য মালামাল বেনাপোল কাস্টম হাউজে প্রেরণ করে। সাময়িক বরখাস্ত হন মুকুল।
দুদকের যশোর সমন্বতি জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আল-আমিন বলেন, অভিযুক্ত খন্দকার মুকুল হোসেনের নামে মামলা করতে প্রধান কার্যালয়ে চিঠি দেয়া হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান কার্যালয় থেকে এক স্মারকে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে নির্দেশ দেয়া হয়। এ অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। তদন্তে মুকুলের সাথে কেউ সংশ্লিষ্ট থাকলে তা আমলে নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, মামলাটি তদন্ত আমি নিজে করব। মামলার প্রয়োজনে আসামিকে আটক করা হবে।
Leave a Reply