December 13, 2025, 8:21 am
শিরোনামঃ
ত্রি-মাত্রিক বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় পর্যাপ্ত অর্থায়নের আহ্বান বাংলাদেশের গণভোটে যে চারটি প্রশ্ন থাকবে কোমায় আছেন গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদি : চিকিৎসক ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্ত্রী খুনের ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জে পরিত্যক্ত অবস্থায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২১৩ কেজি চাল উদ্ধার কুমিল্লায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে অটোরিকশা চালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার স্কুলে কিশোরীদের হিজাব পরা নিষিদ্ধ করলো অস্ট্রিয়া পার্লামেন্ট ভেঙে দিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আলোচনা
এইমাত্রপাওয়াঃ

৫৪ বছর পর ভারতে আবারো নিরাপত্তা মহড়া

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ১৯৬২ সালে হয়েছিল, ১৯৭১ সালেও হয়েছিল, আবার চলতি বছরের ৭ মে ভারতে নিরাপত্তা মহড়া হতে যাচ্ছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রাম থেকে মহানগর পর্যন্ত দেশের ২৪৪টি সিভিল ডিফেন্স জেলায় এই মহড়া হবে। জেলাশাসক, বিভিন্ন স্তরের সরকারি কর্মীরা, হোমগার্ড, সিভিল ডিফেন্স ওয়ার্ডেন, স্বেচ্ছাসেবকরা ছাড়াও থাকবেন এনসিসি, এনএসএস, এনওয়াইকেএসের স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা। তাছাড়া হটলাইনে বিমান বাহিনীর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো বিমান হামলা হলে কী করতে হবে তা মহড়ায় থাকবে। বিমান হামলার সাইরেন বাজলে কী প্রস্তুতি নিতে হবে তা মহড়ায় থাকবে। কন্ট্রোল রুম ও শ্যাডো কন্ট্রোল রুম কীরকম কাজ করছে তাও দেখা হবে।

বলা হয়েছে, ব্ল্যাক আউট হলে কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে, সেটাও জানানো হবে।গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলির জন্য কী ব্যবস্থা নিতে হবে সেটাও বলা হবে। কোনো হামলা হলে কীভাবে উদ্ধার করতে হবে, কীভাবে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা নিতে হবে, সেটাও বলা হবে। দমকল এবং উদ্ধারকারীদের প্রস্তুতির বিষয়টিও দেখা হবে।

যে সব জায়গা নিরাপদ নয়, সেখান থেকে দ্রুত মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার মহড়াও হবে।

এরকম মহড়া ৫৪ বছর পর আবার হচ্ছে। এরকম মহড়া হচ্ছে, পেহেলগাম-কাণ্ডের পর। সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় এবং প্রতি রাতে গুলির লড়াই চলতে থাকায় এই মহড়া। ভারত অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানের সেনা প্রতিদিন কোনোরকম উসকানি ছাড়া বিভিন্ন সেক্টরে গুলি চালাচ্ছে। তখন তাদের জবাব দিচ্ছে বিএসএফ। এই আবহে নিরাপত্তা মহড়া হচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত লেফটোন্যান্ট জেনারেল উৎপল ভট্টাচার্য ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ১৯৬২ সালে এটা আসামে হয়েছে। বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় হয়েছে। সে সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ১৩ দিনের যুদ্ধ হয়েছিল। তখন এই ড্রিলের গুরুত্ব বোঝা গেছিল। এটা হচ্ছে রেডি থাকা। খুব তাড়াতাড়ি সাধারণ মানুষ কী করবেন তা তাদের শিখিয়ে দেয়া হয়। এই মক ড্রিলে সব ধরনের বিষয় থাকে। সেখানে কখন লাইট অফ করতে হবে, জল ভরে রাখতে হবে, আগুন লাগলে কী করতে হবে থেকে শুরু করে কার কী কাজ হবে এ নিয়ে বিস্তারিতভাবে বলা হয়। সেজন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।

সাবেক আইপিএস অফিসার এবং মরিশাসের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শান্তনু মুখোপাধ্যায় ডিডাব্লিউকে বলেছেন, মানসিক প্রস্তুতির জন্য দরকার হয়। সবাই বুঝতে পারেন, তাদের কতটা সতর্ক থাকতে হবে। এটা একটা প্রস্তুতি ও মানুষকে সচেতন রাখার জন্য করা হয়।

কিন্তু এতবছর পর কেন মহড়া করতে হচ্ছে ভারতকে? তার মানে কি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ আসন্ন?

উৎপল ভট্টাচার্যের মত হলো, ভারত একটা প্রত্যাঘাত তো করবে। কিন্তু কবে করবে, কখন করবে, কীভাবে করবে তারা ঠিক করবে। পাকিস্তান বিষয়টি নিয়ে ধন্ধে থাকবে।

উৎপল ভট্টাচার্য মনে করেন, এর মধ্যে একটা সারপ্রাইজ এলিমেন্ট আছে। হয়ত দুই বছর আমরা কিছু করলাম না। কিন্তু যখন করলাম তখন তা কার্যকরী হবে এবং পাকিস্তান কিছুদিন এই ধরনের কাজ করা থেকে বিরত থাকবে।

অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল কে পি ত্যাগী নিউজএক্সকে বলেছেন, জেনারেল কোছার বলে দিয়েছেন, ভয় পাওয়ার দরকার নেই। এটা যুদ্ধ নয়, এটা শুধুমাত্র যদি যুদ্ধ হয়, তাহলে আমরা কী করব?

শান্তনু মুখোপাধ্যায় মনে করেন, এখন দুই দেশের মধ্যে প্রবল উত্তেজনা আছে বলে এটা জরুরি। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, যুদ্ধ শুরু হবে। এটা নিজেদের প্রস্তুত রাখা। মানুষকে সচেতন রাখা। এখন তো সরকারি ও বেসরকারি অফিসেও আগুন লাগলে কী করতে হবে তার মহড়া হয়। মহড়ার পুরো বিষয়টিই হলো, কিছু হলে তার মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকা। এর বেশি কিছু নয়।

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page