November 21, 2025, 7:38 am
শিরোনামঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বোরো ধানের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ ঝিনাইদহের মহেশপুরে ডেকে নিয়ে ইটভাটার লেবার সর্দারকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা ; হত্যার চেষ্টাকারী বাবুল আটক মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির অভিযান ফেন্সিডিল-মদ-গাঁজা উদ্ধার অবৈধ ইটভাটায় বিপর্যস্ত মাগুরার পরিবেশ: জেলা প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও চলছে ইটভাটা ইরানের প্রখ্যাত ক্বারীদের অংশগ্রহণে ঢাকায় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন শুরু বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরোত পাঠাতে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন অধ্যাদেশের গেজেট জারি কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি বোটচওয়ের বাংলাদেশ সফর শুরু আসন্ন নির্বাচনের আগেই ধান-চাল সংগ্রহ শেষ করতে চায় সরকার :খাদ্য উপদেষ্টা সুপ্রিম কোর্টের রাযে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ; পরের নির্বাচন থেকে কার্যকর
এইমাত্রপাওয়াঃ

৫৫ কেজি সোনা গায়েবের তদন্ত ; গ্রেপ্তার ৮ জনের মধ্যে ৩ জন আবারও রিমান্ডে

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কাস্টমস গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা গায়েব হওয়ার তদন্তে কোনো অগ্রগতি নেই। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় আট জনকে ১২ দিন আটক রাখার পর মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর প্রথম দফা পাঁচদিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে  তিনজন জনকে ফের চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকি পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোমবার ঢাকার একটি আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিপুল পরিমাণ সোনা গায়েব হলেও তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ মাত্র ৯৪ ভরি সোনা উদ্ধার করতে পেরেছে। বাকি সোনার কোনো সন্ধান দিতে পারছে না গ্রেপ্তারকৃতরা।
এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস গুদাম থেকে এত বিপুল পরিমাণ সোনা গায়েবের ঘটনা তদন্তে শুরুতেই ডিবির ভূমিকা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। আটজনকে এত দীর্ঘ সময় গোয়েন্দা হেফাজতে রাখার পর তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিচ্ছে না তাদের পরিবার। তাদের সবাইকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রথম দফা পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডিবি আগে বলেছিল, রিমান্ডে নিয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে বেরিয়ে আসবে প্রকৃত কাহিনী। এখন রিমান্ডেও তাদের কাছ থেকে তেমন কোনো  তথ্য আদায় করা যায়নি। ডিবি দাবি করছে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে তারা মুখ খুলছে না।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, রিমান্ডে থাকাবস্থায় জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায় করা সম্ভব হয়নি। তারা শুরু থেকেই জেরার মুখে একে অপর শিফটের ওপর দায় চাপানোর কৌশল নেয়। রিমান্ডে নেওয়ার আগেই ৯৪ ভরি সোনা উদ্ধার করলেও বাকি সোনার বিষয়ে কোনো ধারণা দিতে পারছে না তারা। এত বিপুল পরিমাণ সোনা ঢাকায় রয়েছে নাকি ভারতে পাচার করে দেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হতে পারছে না।
এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়ে সোমবার দেখা যায়, কাস্টমস হলে যারা ডিউটি করছেন তাদের কারোর হাতেই নেই কোনো মোবাইল ফোন। ডিউটিতে থাকাবস্থায় তারা মোবাইল পাশের অন্য কোনো দোকান বা পরিচিত জনের কাছে মোবাইল রেখেই ভেতরে ঢুকেন। এছাড়া ঘটনাস্থল কাস্টমস হাউসের গুদামের ভল্ট এরিয়াতেও আনা হয়েছে ব্যাপক পরিবর্তন। ওই রুমের চারপাশেই লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। ভেতরে কারা কখন কিভাবে ঢুকবেন তার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান তাদের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ, আকরাম শেখ, মো. মাসুম রানা এবং সিপাহী মো. মোজাম্মেল হক, মো. নিয়ামত হাওলাদার, মো. রেজাউল করিম ও মো. আফজাল হোসেন। তাদের মধ্যে চার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা ও চার সিপাহী।
ডিবি জানিয়েছে- প্রথম দফা সবাইকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও তেমন তথ্য না পাওয়ায় দ্বিতীয় দফা রিমান্ডের জন্য আবেদন জানানো হয়। সোমবার আদালত তিনজনকে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডিবির উত্তরা বিভাগের ডিসি ইকরামুল হোসেন জানান, দ্বিতীয় দফার রিমান্ডে আনা আসামিরা হলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ ও সিপাহী নিয়ামত হাওলাদার। কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- আকরাম শেখ, মো. মাসুম রানা, সিপাহী মো. মোজাম্মেল হক,  মো. রেজাউল করিম ও মো. আফজাল হোসেন।
ডিবি সূত্র জানিয়েছে, কারাগারে পাঠানো আসামিরা শুরু থেকেই সোনা গায়েবের জন্য প্রথম থেকে দায়ী করেন শহিদুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম সাহেদ ও নিয়ামত হাওলাদারকে। এতে তদন্তকারীদেরও সন্দেহের শীর্ষে এই তিনজন।
উল্লেখ  সোনা চুরির এ ঘটনা ঢাকা শুল্ক বিভাগের নজরে আসে গত ২ সেপ্টেম্বর। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর। বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসের নিজস্ব গুদামে দিনভর ইনভেন্টরি শেষে ৫৫ কেজি সোনা চুরি বা বেহাত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত হয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় মামলা হয় অজ্ঞাতদের আসামি করে। এসব সোনার দাম প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এ ঘটনায় শুল্ক বিভাগ একজন যুগ্ম কমিশনারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবন্দর থানায় এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ঢাকা কাস্টম হাউসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি ৫০১ গ্রাম সোনা খোয়া গেছে, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। সাধারণত বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ করা সোনার বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস এই গুদামে রাখা হয়। গুদামে রক্ষিত সোনার হিসাব মেলাতে গিয়েই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

 

আজকের বাংলা তারিখ

November ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Oct    
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০


Our Like Page