অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে ফেনীতে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক।
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল নিহতদের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় এই সংঘর্ষ শুরু হয়। নিহতরা হলেন, ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ শ্রাবণ, ফাজিলপুর কলাতলী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ছাইদুল ইসলাম (২০), দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শিহাব উদ্দিন (২১), চর মজলিশপুর মান্দারি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাকিব (২২), উত্তর জয়লস্কর এলাকার শাহজাহানের ছেলে সরোয়ার জাহান মাসুদ (২১), লক্ষ্মীপুরের মালেকের ছেলে সাইফুল ও আরাফাত।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, দুপুর দেড়টার দিকে শহরের ট্রাঙ্ক রোড থেকে সরকারপন্থি নেতাকর্মীরা শহীদ শহিদুল্লাহ কায়সার সড়ক হয়ে মহিপাল এলাকায় পৌঁছান। সেখানে ছাত্র-জনতার ওপর নির্বিচার গুলি ও হামলা চালানো হয়।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নেন ছাত্র-জনতা। একপর্যায়ে তারা ফ্লাইওভারের দক্ষিণাংশে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলেন। সড়ক অবরোধের কারণে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রেজাউল করিম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে গুলি নিয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আপাতত আর কিছু বলতে পারছি না।’
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকার পতনের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে এবং রবিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply