এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের সুবিধার জন্য ছাত্র সমাজ বুকের তাজা রক্ত দেয়নি। কাজেই এখনই দখল, বাড়িঘর ভাংচুর ও নৈরাজ্য বন্ধ না করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। পাশাপাশি পাসপোর্ট অফিস, ভূমি অফিস, শিক্ষা অফিস, রেজিষ্ট্রি অফিস ও ঝিনাইদহ পৌরসভাসহ সরকারী দপ্তরগুলোতে ঘুষ দুর্নীতি বন্ধ কেেরত হবে।
শনিবার দুপুরে সারা দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ঝিনাইদহে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এলমা খাতুন লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বৈরাচার পতনের পর জেলার বিভিন্নস্থানে হানাহানি, দখল, বাড়িঘর ভাংচুরসহ নানা নৈরাজ্য সংগঠিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। এমন ক্ষয়ক্ষতিতে ছাত্রসমাজ দারুন ব্যথিত। বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলের সুবিধার জন্য এ আন্দোলন গড়ে ওঠেনি।
জেলায় নৈরাজ্য ঠেকাতে ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ। সকল অনৈতিক কর্মকান্ড ছাত্ররা পর্যবেক্ষন করছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জনগনের নিকট জবাবদিহি ও ন্যায়বিচারের মুখোমুখি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও চলমান সংকটে জনমানুষের নিরাপত্তায় অনতিবিলম্বে পুলিশের দায়িত্বে ফেরার আহবান জানান সমন্বয়করা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক আবু হুরাইরা, এলমা খাতুন, রিহান হোসেন রায়হান, শারমিন সুলতানা, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনিছুর রহমান, সাইদুর রহমান, সাজেদুর রহমান, রত্না খাতুন ও নুসরাত জাহানসহ ১০ সমন্বয়ক ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এলমা খাতুন বলেন, এ দেশের শিক্ষার্থীরা সত্যিকারের মানবিক ও আদর্শ রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন নিয়ে এ আন্দোলনের সফল হয়েছে। আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহের রাজপথে থেকে তৎকালীন স্বৈরাশাসকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে আন্দোলন চলামান রেখেছিল। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আপনার আমাদের এই আন্দোলনে ক্যামেরা পিছন থেকে, আবার কেউ কলম দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী সংগ্রামকে সফলতায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। রাজনৈতিক সংগঠনের আজ্ঞাবহ না থেকে মানুষ ও আমাদের পাশে থাকবেন আপনারা।
Leave a Reply