অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে উপজাতিদের মধ্যে সংঘর্ষে নারী শিশুসহ ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৭জন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী উপজাতিদের মধ্যে গুলির ঘটনায় দুইজন গুরুতর আহত হন। তাদের গোলাগুলির পরই জেলার বিভিন্ন স্থানে এর উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী কারণে গুলি চালানো হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
পারাচিনার ডিএইচকিউ মেডিকেল সুপারিন্টেনডেন্ট ড. সৈয়দ মীর হাসান বলেছেন, আহত একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, বাকিদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। স্থায়ী শান্তি পুনরুদ্ধার এবং পরিবহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কুররাম জেলা প্রশাসক জাভেদুল্লাহ মাহসুদ।
দুই উপজাতির মধ্যে এমন ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয় নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় উপজাতি পরিষদের সদস্য পীর হায়দার গণমাধ্যমে বলেছেন, ইতিমধ্যেই তারা উত্তেজনা নিরসনে উভয় উপজাতির নেতাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় স্থানীয়ভাবে শান্তি বিনষ্ট হয়েছে বলে মনে করছেন উপজাতি পরিষদের সদস্যরা।
গত সেপ্টেম্বরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ওই অঞ্চলে ৪৬ জন নিহত হয়েছিলেন। সেসময় উপজাতির মধ্যে আলোচনার সুবিধার্থে একটি স্থানীয় কমিটি নিযুক্ত করেছিল জেলা প্রশাসক। ধারণা করা হচ্ছে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই পুনরায় উত্তপ্ত হয়েছে কুররাম জেলা।
Leave a Reply