অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহ’র একটি ড্রোন হামলায় রোববার চার সৈন্য নিহত হয়েছে। লেবাননে হিজবুল্লাহ তার বোমা হামলা সম্প্রসারিত করেছে এবং সেনারা সীমান্তের ওপারে তাদের সাথে লড়াই করছে।
বৈরুত থেকে এএফপি জানায়, ২৩ সেপ্টেম্বরের লেবাননে হিজবুল্লাহর উপর ইসরাইল হামলা বাড়ানোর পর থেকে হাইফার কাছে বিনিয়ামিনার সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরের এই হামলাটি ছিল ইসরাইলি ঘাঁটিতে সবচেয়ে মারাত্মক। জরুরি পরিষেবাগুলো ৬০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার খবর দিয়েছে।
ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ রোববার গভীর রাতে বলেছে, তারা হাইফা শহরের প্রায় ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিনিয়ামিনা ক্যাম্পে ‘আক্রমণ ড্রোনের একটি স্কোয়াড্রন’ পরিচালনা করেছে। বৃহস্পতিবার বিমান হামলাসহ ইসরাইলি হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালানো হয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে ইসরাইলের ওই হামলায় কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়।
একটি ইসরাইলি স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধারকারী সেবা ইউনাইটেড হাটজালাহ বলেছে, বিনয়ামিনায় তার দলগুলো ‘৬০ জনেরও বেশি আহত ব্যক্তিকে’ সহায়তা করেছে। তাদের মধ্যে সামান্য থেকে গুরুতর আহত হয়েছে।
এদিকে গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত স্কুলে রোববার ইসরাইলি হামলায় কয়েকটি পুরো পরিবারসহ নিহতের সংখ্যা ১৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীরা বলেছে, লেবাননের দক্ষিণে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ বাহিনীর মধ্যে লড়াইয়ের সময়, তারা মহড়ায় ছিল। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে এই এলাকা থেকে তার বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানানোর পরে ইসরাইলি সেনারা ‘জোরপূর্বক’ দুটি ট্যাঙ্ক নিয়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের অবস্থানে প্রবেশ করে।
ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলাগুলো বৈরুতের দক্ষিণে ও লেবাননের দক্ষিণ ও পূর্বে হিজবুল্লাহর ঐতিহ্যবাহী শক্ত ঘাঁটির বাইরের এলাকায় দিকে ক্রমবর্ধমানভাবে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।
ইসরাইল বলেছে, তার বিমান বাহিনী হিজবুল্লাহ লঞ্চার, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল পোস্ট, অস্ত্র মজুদ কারখানা ও অন্যান্য লক্ষ্যবস্তু আঘাত করেছে। স্থলভাগে তার সৈন্যরা কয়েক যোদ্ধাকে নির্মূল করেছে।
লেবাননের সরকারি ‘ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ)’ বলেছে ইসরাইলি বাহিনী লেবাননের দক্ষিণে ‘তাদের আক্রমণ বাড়িয়েছে’ এবং বেশ ক’টি সীমান্তবর্তী গ্রামে ‘পরপর বিমান হামলা’ চালিয়েছে।
Leave a Reply