অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস কাউন্সিলের ক্যালিফোর্নিয়া শাখা একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে: আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের ৪৯ শতাংশ মুসলিম ছাত্র হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার।
ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য শাখার কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (CAIR) “২০২৪ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থা” শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে এই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইসলামোফোবিয়ার ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করেছে। ইরানের শাবেস্তান নিউজ এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ৮৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪৯ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী হয়রানি ও বৈষম্যের শিকার।
এই রিপোর্ট অনুসারে, ৩৭ শতাংশ মুসলিম শিক্ষার্থী বলেছে যে শিক্ষা কর্মীরা তাদের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে তাদের প্রতি বৈষম্য করেছে।
বৈষম্যের শিকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪৭ শতাংশ জানিয়েছে যে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের অভিযোগ জানাতে চায় না এবং ৩৬ শতাংশ বলেছে যে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে তাদের রাজনৈতিক মতামত প্রকাশ করতে পারে না।
উল্লেখ করা যায়, এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এবং বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।
আমেরিকার পুলিশ ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ চলাকালে অনেক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে এবং এমনকি তারা কয়েকজন গ্রেফতারকৃত মুসলিম ছাত্রীর হিজাব খুলে ফেলার চেষ্টা করেছে।
গাজায় ইসরাইলের অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে ছাত্র ও শিক্ষকরা প্রতিবাদ সমাবেশ করায় মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা হার্ভার্ড, পেনসিলভানিয়া এবং এমআইটি এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানদের জবাবদিহিতা করার নির্দেশ দেয়। মার্কিন কংগ্রেস আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদেরে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিক্ষোভ করার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করার পর জবাবদিহিতার ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়।
Leave a Reply