অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : পিএসসির অধীনে পরীক্ষার মাধ্যমে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে (নন-ক্যাডার) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল-কলেজে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর এবং ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর পদে ৩ হাজার ১৭৩ জনের নিয়োগ স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ চার সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ এ আদেশ দেন।
আজকের আদেশে আপিল বিভাগ চার সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে। তিন সপ্তাহের নিয়োগ পাওয়াদের বিষয়ে পুলিশ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। আর আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টকে নিয়োগ বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
আজকের এই আদেশের ফলে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিতে যোগদানে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন উভয় পক্ষের আইনজীবীরা।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক।
২০২১ সালের ২৬ অক্টোবর পিএসসির অধীনে ৯ম ও ১০ম গ্রেডের (নন-ক্যাডার) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজসমূহের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর এবং ফিজিক্যাল এডুকেশন ইন্সট্রাক্টর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৮ মার্চ এসব পদে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০২৫ সালের ২৩ জানুয়ারি এসব পদে নিয়োগের সার্কুলার জারি করা হয়। যেখানে ২৯ জানুয়ারি চাকরিতে যোগদানের নির্দেশনা দেয়া হয়।
তবে এইসব পদে নিয়োগ পেতে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১৮ জন বঞ্চিত হয়ে হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পক্ষের আইনজীবী হাইকোর্টে শুনানিতে বলেন, পিএসসির ‘আবেদ আলি সংশ্লিষ্ট’ এই পরীক্ষায় চাতুর্যতার আশ্রয়ে লিখিত পরীক্ষা না নিয়ে এমসিকিউ পরিক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একই সময়ে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে রেলওেয়ের একটা পরীক্ষা বাতিল করা হয় কিন্তু এই পরীক্ষাটি বাতিল করা হচ্ছিলো না। তাই রিটটি করা হয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ সাড়ে তিন হাজার জনের নিয়োগ ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেন।
পরবর্তী হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যেখানে ৩ হাজার ১৭৩ জনের নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়। যদিও হাইকোর্টের আদেশের পর রিটকারি পক্ষ থেকে ৩ হাজার ৫৩৪ জনের নিয়োগ স্থগিতের কথা বলা হয়েছিল।
Leave a Reply