এম এ কবীর, ঝিনাইদহ : “মানব পাচারের শিকার ব্যক্তির সুরক্ষা ও সহায়তায় জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামো” বিষয়ক জেলা পর্যায়ে শেয়ারিং ও ওরিয়েন্টেশন সভা বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আওয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব মু: জসিম উদ্দিন খান। কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মঞ্জুর মোরশেদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রথীন্দ্রনাথ রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুর রহমান,অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসান সিদ্দিকী, ঝিনাইদহ সদর থানার (ওসি) তদন্ত জহিরুল ইসলাম, ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী, উইনরক ইন্টারন্যাশনালের পলিসি অ্যাডভোকেসী স্পেশালিষ্ট মৃন্ময় মহাজন, ইনসিডিন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ম্যানেজার অ্যাডভোকেট রফিকুল আলম,ঝিনাইদহ জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি এম এ কবীর, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ কাজল, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহ জিলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাজেদ রেজা বাধন, ঝিনাইদহ সরকারী কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ্ রুস্তম আলী, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সী ফিরোজা সুলতানা, মানবাধিকার কর্মী আব্দুর রহমান এবং উই এর নির্বাহী পরিচালক শরিফা খাতুন।
কর্মশালায় জেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আশ্বাস প্রকল্প,উইনরক ইন্টারন্যাশনাল,ইনসিডিন বাংলাদেশ এবং ঢাকা আহসানিয়া মিশশের সহযোগিততায় কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধ করতে হলে এ সংক্রান্ত আইনের কঠোর বাস্তবায়ন করতে হবে।
এছাড়া এ জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামোর মূল কাজ হবে মানব পাচারের শিকার ব্যক্তির নারী ও পুরুষের যথাযথ সেবা প্রদানসহ সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমূহের মধ্যে একটি সমন্বয় কাঠামো তৈরি করা।
এজাতীয় তদারকির দায়িত্বে থাকবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা বিভাগের অধীন গঠিত “মানব পাচার দমন সংস্থা”। সভায় বক্তাগণ বলেন মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তাকে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষার পদক্ষেপসমূহ নিয়ে একই ছাতার নিচে সেবার ব্যবস্থা করতে হবে।
বক্তাগণ বলেন,যার সেবা পাওয়ার প্রয়োজন তাকে যথাযথ সেবা প্রদান,সুরক্ষা প্রদান নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পাচার ব্যক্তির সহায়তার পাশাপাশি অপরাধীর শাস্তি দেয় এবং কেউ যেন দায়িত্ব এড়িয়ে না যায় সেদিকে সচেতন থাকা জরুরী।
তারা বলেন ভিকটিমের মানসিক চিকিৎসা যেমন প্রয়োজন তেমনি প্রত্যশার তুলনায় প্রাপ্তি যেন কম না হয় সেদিকেও নজর দেয়া সকলের দায়িত্ব।
Leave a Reply