অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বরগুনা আমতলীর বাসস্ট্যান্ডে কাউন্টারের দখল নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউনিক কাউন্টার দখল নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনায় ১১ জন আহত হয়েছেন। এতে দুপুর থেকে বটতলার দূর পাল্লার পরিবহণের সব কাউন্টার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আমতলী বাসস্ট্যান্ডের ইউনিক কাউন্টারের দখল নিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদার ও পৌর বিএনপি ও যুবদলের আরেক আহ্বায়ক কবির ফকিরের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বটতলা থেকে নতুন বাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১জন নেতা কর্মী আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতরা হলেন ফরহাদ ফকির, রাহাত ফকির, মিজানুর রহমান মোল্লা, সাইফুল ইসলাম, বায়েজিদ, আলী হোসেন, মো. ইছা, লিমন মৃধা, সামসুল হক চৌকিদার, আলামিন ফকির ও বেল্লাল। সংঘর্ষের পরপরই আমতলী থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার শতাধিক বাস কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়।
সামসুল হক চৌকিদারের অভিযোগ, ইউনিক কাউন্টার আমার। এ নিয়ে দুদফা সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তারপরও শুক্রবার রাতে কবির ফকিরের লোকজন কাউন্টারের তালা ভেঙ্গে ল্যাপটপ এবং টিকেট নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে তারা আবার কাউন্টার দখলে গেলে আমাদের লোকজন বাধা দেয়। এ সময় তারা তিনজনকে কুপিয়ে জখম করে। রামদার কোপে আমার ডান হাতের একটি আঙ্গুলও কেটে গেছে।
পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইউনিক কাউন্টার আমাদের পক্ষের লোকজনের। আমাদের লোকজন কাউন্টার চালাচ্ছিল। শনিবার দুপুরে সামসুল হক চৌকিদার প্রায় দুই থেকে আড়াই শতাধিক ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ইউনিকসহ বিআরটিসি কাউন্টার দখল নিতে গেলে আমাদের লোকজন বাধা দেয়। এ সময় তারা আটজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তাদের উদ্ধার করে উন্নত বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply