অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : নওগাঁর রাণীনগরে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিতরণ করা গাছের চারার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। বিতরণকৃত চারাগুলোর মধ্যে কিছু চারা এতটাই ছোট যে, তা রোপণ করলেও বেড়ে ওঠার সম্ভাবনা কম বলে অভিযোগ উঠেছে।
কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫০ জন করে শিক্ষার্থীকে কাঁঠাল, বেল, নিম ও জাম গাছের চারা দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে, নিম ও জাম গাছের চারা এক থেকে দেড় ফিটের বেশি নয়, যা রোপণের উপযোগী নয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কুজাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফসি বলেন, কিছু গাছের চারা এতটাই ছোট যে, এগুলো রোপণ করে কোনো ফল পাওয়া যাবে না। যদি সবগুলো চারা মধ্যম আকৃতির হতো, তাহলে প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হতো।
ত্রিমোহনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোত্তালিব বলেন, কাঁঠাল ও বেল গাছের চারা কিছুটা ভালো হলেও অন্য দুটি একেবারেই অপ্রতুল মানের। এসব গাছ রোপণ করে লাভ নেই। এভাবে দায়সারাভাবে একটি ভালো উদ্যোগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।
এছাড়া গাছ বহনের জন্য বরাদ্দকৃত ভাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, স্থানীয় নার্সারি থেকে মানসম্মত চারা সংগ্রহ করলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেতো।
কুজাইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাব্বেল হোসেন বলেন, এই উদ্যোগকে ‘হালাল করার’ জন্যই দায়সারাভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মানহীন গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের আগ্রহও কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা. মোস্তাকিমা খাতুন মুঠোফোনে জানান, জেলা কৃষি বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী নার্সারি থেকে চারা ক্রয় করা হয়েছে। একই নার্সারি থেকে অধিক সংখ্যক চারা নেওয়ার কারণেই কিছু চারা ছোট হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে প্রকল্পে কোনো অনিয়ম হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।