অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান জোর দিয়ে বলেছেন যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সর্বদা তার শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে পেতে প্রস্তুত ছিল এবং এখনও প্রস্তুত আছে।
গতকাল সোমবার চীনের তিয়ানজিনে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সাংহাই প্লাস শীর্ষ সম্মেলনে ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন: “আমি ঘোষণা করছি যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সর্বদা তার শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য একটি কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করতে প্রস্তুত ছিল এবং থাকবে।”
তিনি বলেছেন যে ইরানি জনগণ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, বিশেষ করে গত কয়েক মাসে, বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা এবং সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে বলপ্রয়োগে শান্তি চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টার তিক্ত স্বাদ ভোগ করেছে, তিনি আরও বলেন: “গত দুই দশক ধরে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান আইনি অধিকারের কাঠামোর মধ্যে কাজ করার পাশাপাশি সর্বদা সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে বিদ্যমান অস্পষ্টতা সমাধানের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। তবে, গত জুনে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কপটভাবে ইরানের সাথে আলোচনার টেবিলে বসেছিল তখন আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এখন ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতিগুলোর প্রতি বাস্তব এবং কার্যকর কোনো ধরনের সম্পর্ক না রাখা সত্ত্বেও আমাদের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞাগুলি ফিরিয়ে আনার হুমকি দিচ্ছে, যদিও ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড সর্বাধিক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ বা নজরদারির অধীনে পরিচালিত হয়েছে।” তিনি জোর দিয়ে বলেছেন: “এজন্যই আমরা আশা করি সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা এবং বিশ্বের স্বাধীন দেশগুলো এইসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাদের কার্যকর এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।”
কূটনীতিই একমাত্র সমাধান, স্ন্যাপব্যাক উত্তেজনার উৎস : ইরানের রাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন: “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইহুদিবাদী সরকারের ব্যর্থ সামরিক আগ্রাসন দেখিয়ে দিয়েছে যে সামরিক বিকল্পটি অকার্যকর এবং তা ইরানি জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের মুখোমুখি হবে। তথাকথিত স্ন্যাপব্যাক ব্যবস্থার আশ্রয় নেয়া পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে এবং আরও উত্তেজনার দিকে নিয়ে যাবে। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপকে সংঘাতমূলক সমাধানগুলি একপাশে রেখে একটি ভারসাম্যপূর্ণ এবং ন্যায্য সমাধানে পৌঁছানোর জন্য কূটনীতির দিকে মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিচ্ছি।”
ফিলিস্তিনি সমস্যার ন্যায্য সমাধান না হলে বিশ্বে শান্তি ও ন্যায়বিচারের কোনও পরিকল্পনাই সফল হবে না : ইরানের রাষ্ট্রপতি বলেন: “আমরা আবারও জোর দিয়ে বলছি যে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থাকে তার চারপাশের বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে আরও সুসংগঠিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে।”