অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে আলোচনা করতে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর নেতা এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট সোমবার জানান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, জর্ডান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের সঙ্গে বহুপাক্ষিক বৈঠক করবেন ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, বৈঠকে ট্রাম্প গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনব্যবস্থার জন্য একটি প্রস্তাবনা দেবেন। এতে জিম্মিদের মুক্তি, যুদ্ধবিরতি, ইসরায়েলের প্রত্যাহার এবং হামাসকে বাদ দিয়ে গাজার শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা থাকবে।
ওয়াশিংটন চাইছে আরব ও মুসলিম দেশগুলো গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠাতে রাজি হোক যেন ইসরায়েল তাদের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার করতে পারে এবং পুনর্গঠন ও অর্থায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।
মঙ্গলবার ট্রাম্প জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদেও ভাষণ দেবেন। এর একদিন আগে যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং পর্তুগাল জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি ঐতিহাসিক কূটনৈতিক পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই স্বীকৃতি আসলে চরমপন্থাকে পুরস্কৃত করছে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে এবং ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একাধিক জাতিসংঘ তদন্ত, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকরা এটাকে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলের দাবি, এটি তাদের আত্মরক্ষার অংশ, কারণ ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে হামাসের আক্রমণে প্রায় ১২০০ মানুষ নিহত এবং আরও ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ইরান, লেবানন, ইয়েমেন, সিরিয়া ও কাতারেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।