অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজা অভিমুখে যাত্রারত ‘কনসায়েন্স’ জাহাজ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। বার্তায় তিনি সমুদ্রযাত্রার উত্তাল আবহাওয়ার পরিস্থিতি ও ইসরায়েলি হামলার শঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন।
বৃহস্পতিবার(২ অক্টোবর) নিজের সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক লাইভে তিনি এ কথা জানান। একই সাথে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ফিলিস্তিনের ওপর থাকা ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
সর্বশেষ ১ ঘণ্টা আগে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন- ‘জাহাজ ‘কনসায়েন্সে’ ঘুমানোর জন্য পছন্দসই আর কোন জায়গায় আমার আর কোনো স্থান ছিল না, কারণ আমি শেষ যাত্রী হিসেবে এতে উঠেছি। গত রাতে খোলা ডেকে ঘুমিয়েছিলাম, কিন্তু ঝড়ের কারণে তা সম্ভব হয়নি। তাই বের হবার রাস্তায় একটি ছোট্ট কোণে জায়গা নিয়েছি। আলো-শব্দের ভিড়ে ঘুমের অসুবিধা হলেও রিমান্ড ও কারাগারের অভিজ্ঞতা আমাকে এমন প্রতিকূল অবস্থায় অভ্যস্ত করে দিয়েছে। ফলে গভীর ঘুম হয়েছে।’
বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শুভেচ্ছা ও দোয়া আসছে। সবার বার্তায় সাড়া দিতে না পারায় আমি দুঃখিত, তবে সঙ্গীদের কাছে সেগুলো পৌঁছে দিয়েছি। গণমাধ্যমের বন্ধুদেরও দুঃখিত হওয়ার বার্তা জানাচ্ছি-এত অনুরোধ আসছে যে, ব্যক্তিগতভাবে সাড়া দেয়া সম্ভব নয়। দয়া করে কনটেন্টের জন্য দৃকের সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) নিজের সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে একই সাথে দৃঢ়তার সঙ্গে ফিলিস্তিনের ওপর থাকা ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে তিনি।
জাহাজটির ওপরের ডেক থেকে শহিদুল আলম লাইভে বলেন, ‘গ্রিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঝড়ের সতর্কতা এলেও জাহাজটি এগিয়ে চলেছে। ক্যাপ্টেন ঝড়ের কবল থেকে বাঁচতে গত রাতে জাহাজের গতি বাড়িয়েছিলেন। ঝড় এবং বিদ্যুৎ চমকানো বন্ধ হয়েছে। বৃষ্টিও থেমে গেছে। এই জাহাজটি বাকি ফ্লোটিলা থেকে কিছুটা পিছিয়ে আছে।’
তিনি আরও জানান, ‘সামনের জাহাজগুলোতে আক্রমণ করা হয়েছে। তবুও আমরা এই ভীতি প্রদর্শনে দমে না গিয়ে গাজার দিকে আমাদের পথে এগিয়ে চলেছি। আমরা অবরোধ ভাঙব। ফিলিস্তিন মুক্ত হবে।’
এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ইতালির ওট্রান্টো থেকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ফ্লোটিলার অভিযাত্রী হন ড. শহিদুল আলম। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশে এগিয়ে চলা ত্রাণবাহী নৌ-বহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলায় যোগ দেন বাংলাদেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম।
সামাজিক মাধ্যমে দেয়া পোস্টে নিজেইে এসব জানিয়েছেন তিনি। ইতালির ওট্রান্টো থেকে সুমুদ ফ্লোটিলার বৃহত্তম জাহাজ ‘কনসায়েন্স’-এর অভিযাত্রী হন ড. শহিদুল আলম।
অবরোধের শিকার গাজা উপত্যকায় প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছানো এবং ইসরায়েলের নৌ অবরোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ অভিযানে অংশ নেয় ৪৫টিরও বেশি বেসামরিক নৌযান, যার মধ্যে প্রায় ৫০০ যাত্রী রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতা ও মানবাধিকার কর্মী।