December 19, 2025, 10:28 pm
শিরোনামঃ
বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক থাকতে দূতাবাসের অনুরোধ বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার আগে সোশ্যাল মিডিয়া কার্যক্রম যাচাই করবে ভারত সরকার ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানালেন জামায়াতের আমীর বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসের নিয়োগ সিনেটে অনুমোদন ঢাকায় পৌঁছালো ওসমান হাদির মরদেহ ; আগামীকাল সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাযা সিলেট সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে ফের ভোটের মাঠে ফিরলেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপি প্রার্থী বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার পর মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে রেখে থানায় নিখোঁজের জিডি ; অবশেষে ধরা যুক্তরাজ্যের কারাগারে অনশনের ফলে ফিলিস্তিন অ্যাকশনের ৬ কর্মী মৃত্যু ঝুঁকিতে ভারতের রাজ্য বিচ্ছিন্ন করার হুমকি সহ্য করা হবে না : আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা
এইমাত্রপাওয়াঃ

আজ বেদনাবিধুর ও কলঙ্কিত জেলহত্যা দিবস

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক :   আজ ৩ নভেম্বর বেদনাবিধুর ও কলঙ্কিত জেলহত্যা দিবস। রাতের আঁধারে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে।

তাই দিনটিকে জাতির ইতিহাসে একটি বেদনাবিধুর দিন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

এই নির্মম ঘটনার ঠিক আগে একই বছরের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর তার ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার পাল্টাপাল্টি দখলের ধারাবাহিকতায় রাতের আঁধারে কারাগারে বন্দী অবস্থায় ৪৯ বছর আগে হত্যা করা হয় জাতীয় এই চার নেতাকে।

টালমাটাল এবং উত্তেজনাকর এক পরিস্থিতিতে ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে কারাগারের সামনে একটি পিকআপে করে আসে কয়েকজন। সেসময়ের রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদ ফোন করে নির্দেশ দেন সেনা সদস্যরা যা করতে চায় তাদের যেন তা করতে দেওয়া হয়। রাত ৩টার পর তখনকার জেলার আমিনুর রহমানের কাছে জাতীয় চারনেতাকে একত্রিত করার নির্দেশ আসে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও তাজউদ্দিন আহমদ যে সেলে ছিলেন সে কক্ষে মনসুর আলী এবং কামরুজ্জামানকে নিয়ে আসা হয়। এরপর সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলা জেলহত্যা মামলা নামে পরিচিতি পায়।

নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৮। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনজন। সাজাপ্রাপ্ত এই ১১ আসামির মধ্যে ১০ জনই ধরাছোঁয়ার বাইরে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাতেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দেশে ফেরার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি ধরা পড়েন এবং ওই মাসেই তার ফাঁসি কার্যকর হয়।

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনায় ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত থেমে ছিল ২১ বছর। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। ২৯ বছর পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আজকের বাংলা তারিখ

December ২০২৫
Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
« Nov    
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০৩১  


Our Like Page